ঘুমের অভাবে বাড়ছে মধুমেহ? ছবি: সংগৃহীত।
পুষ্টিবিদের পরামর্শমাফিক বেশির ভাগ খাবার থেকেই চিনি বাদ দিয়েছেন। চিনি দেওয়া চা একেবারেই খান না। মিষ্টি খান হিসেব করে। তবু রক্তে শর্করার মাত্রা কিছুতেই বশে থাকছে না। কোথায় ভুল হচ্ছে বলুন তো? সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে, রক্তে বাড়তে থাকা শর্করা বা টাইপ ২ ডায়াবিটিসের পিছনে রয়েছে পর্যাপ্ত ঘুমের অভাব। সারা দিনে মাত্র ৩ থেকে ৫ ঘণ্টা ঘুমোন যাঁরা, তাঁদের ডায়াবিটিসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। ‘জামা নেটওয়ার্ক ওপেন’ পত্রিকায় এই তথ্য প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, স্বাস্থ্যকর খাবার কিন্তু ঘুমের বিকল্প হতে পারে না। তাই না ঘুমিয়ে শুধু স্বাস্থ্যকর খাবার খেয়ে কিন্তু ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা যাবে না।
না ঘুমিয়ে শুধু স্বাস্থ্যকর খাবার খেয়ে কিন্তু ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা যাবে না। ছবি: সংগৃহীত।
ঘুমের সঙ্গে ডায়াবিটিসের সম্পর্ক কেমন?
শরীরের উপস্থিত ইনসুলিন হরমোনের সাহায্যে গ্লুকোজ় সংগ্রহ করে তা শক্তিতে রূপান্তরিত করার যে স্বাভাবিক প্রক্রিয়া, তা ব্যাহত করে টাইপ ২ ডায়াবিটিস। ফলে রক্তে উপস্থিত শর্করার পরিমাণ বাড়তে থাকে। ২০২০ সালের একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে, বিশ্ব জুড়ে প্রায় ৪৬ কোটি ২০ লক্ষ মানুষ টাইপ ২ ডায়াবিটিসে ভুগছেন। নিজে কিছু না করলেও অন্যান্য অনেক রোগের ক্ষেত্রে এই টাইপ ২ ডায়াবিটিস কিন্তু বিপজ্জনক হয়ে ওঠে। যদিও ঘুমের সঙ্গে ডায়াবিটিসের যোগ কোথায়, সে বিষয়ে স্পষ্ট ধারণা না থাকলেও গবেষকেরা বলছেন, দিনের পর দিন ঘুম কম হলে হরমোনের উপর প্রভাব পড়বেই। সে ক্ষেত্রে ইনসুলিন হরমোনের কার্যকারিতা ব্যাহত হওয়া অস্বাভাবিক নয়।