কতটা রাগী এই কুকুর? ছবি: সংগৃহীত
রটওয়েলার কি পোষ্য হিসেবে নিরাপদ? হালে এই প্রশ্ন আবার উঠে এসেছে। তার কারণ, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে দক্ষিণ ভারতে এক বৃদ্ধ মারা গিয়েছেন এই প্রজাতির ২টি কুকুরের আক্রমণে। গত বছর খানেকের মধ্যে গোটা দেশে বেশ কয়েক জনের মৃত্যু হয়েছে রটওয়েলারের দ্বারা আক্রান্ত হয়ে। তার মধ্যে এমন একজন রয়েছেন, যাঁর মৃত্যু হয়েছে নিজের পোষ্য রটওয়েলারের কারণেই।
আক্রমণাত্মক মনোভাবের কারণেই বেশ কিছু দেশে এই প্রজাতির সারমেয় পোষা নিষিদ্ধ। সেই তালিকায় রয়েছে:
কিন্তু সত্যিই কি রটওয়েলার পোষা বিপজ্জনক? সারমেয় প্রশিক্ষক শুভ্রাংশু চৌধুরী বলছেন, বিষয়টা আদপেও তা নয়। প্রতিটি প্রজাতির কুকুরের আলাদা মানসিক ধরন। সেটা না বুঝে কুকুর পুষতে যাওয়াটাই আসলে সমস্যার। ‘‘কোনও কুকুর খুব আদুরে হয়, কেউ আবার পাহারাদার হিসেবে ভাল। কারও চরিত্রের মধ্যে আবার হয়তো শিকারি সত্তা রয়েছে। এগুলো মাথায় রেখে কুকুর পুষতে যাওয়া উচিত’’, এমনটাই মত শুভ্রাংশুর।
পশুচিকিৎসক দেবাশিস দত্তের কথায়, রটওয়েলারের চরিত্রই আক্রমণাত্মক। ‘‘এক সময় ইউরোপে চাষের জমিতে বা বাজারে গাড়ি টানার কাজে লাগানো হত এই জাতের কুকুরদের। এরা স্বভাবতই পরিশ্রমী। চেহারার কারণেই এদের নিয়ে অনেকের মনে ভয় আছে। কিন্তু তার মানে এই নয় যে, এরা ক্ষতিকারক। বরং মালিকের প্রতি বা পরিবারের প্রতি অত্যন্ত বিশ্বস্ত এই প্রজাতির সারমেয়’’, বলছেন তিনি।
রটওয়েলার পোষার সময় কী মাথায় রাখা উচিত? ৩ বছরের এক রটওয়েলারের মালিক মলয় সাহার কথায়, একদম ছোট থেকেই এদের প্রশিক্ষণ দিতে হবে। ‘‘৪ মাস বয়স থেকেই ওদের প্রশিক্ষণ দেওয়া উচিত। তা হলে ওদের মধ্যে নিয়মানুবর্তিতার বোধ জন্মায়।’’
রটওয়েলার সম্পর্কে মনে রাখতে হবে: