Wedding News

ডাউন সিনড্রোমে আক্রান্ত যুগল বাঁধা পড়লেন বিবাহবন্ধনে, শুরু করলেন জীবনের নতুন অধ্যায়

২৭ বছর বিঘ্নেশ দুবাইতে হসপিট্যালিটি শিল্পের সঙ্গে যুক্ত। ২২ বছর বয়সি অনন্যা এক জন স্কুলশিক্ষিকা। পুণেতে ঘটা করে বিয়ে হল তাঁদের। কী ভাবে আলাপ হল তাঁদের?

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৬ জুলাই ২০২৩ ১৭:৪৯
Share:

ডাউন সিনড্রোমে আক্রান্ত যুগল বিঘ্নেশ কৃষ্ণস্বামী এবং অনন্যা সওয়ান্ত বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হলেন। ছবি: সংগৃহীত।

বিঘ্নেশ কৃষ্ণস্বামী এবং অনন্যা সওয়ান্ত, দু’জনেই ডাউন সিনড্রোমে আক্রান্ত। বুধবার তামিল ও মরাঠি দুই সংস্কৃতির নিয়মবিধি মেনে ঘটা করে পুণেতে বিয়ে সম্পন্ন হল তাঁদের। সম্প্রতি এই নবদম্পতির বিয়ের কাহিনি নজর কেড়েছে সকলের। জিনগত ত্রুটিই ‘ডাউন সিনড্রোম’ হওয়ার মূল কারণ। ২৩ জোড়া ক্রোমোজোমের মধ্যে ২১তম ক্রোমোজমে দু’টির বদলে তিনটি ক্রোমোজোম থাকে। তাই অসুখটি ‘ট্রাইজোমি-২১’ নামেও পরিচিত। এই রোগ হলে শিশু শারীরিক ও মানসিক বৃদ্ধিজনিত কিছু সমস্যা নিয়েই জন্ম নেয়।

Advertisement

২৭ বছর বিঘ্নেশ দুবাইতে হসপিট্যালিটি শিল্পের সঙ্গে যুক্ত। ২২ বছর বয়সি অনন্যা একজন স্কুলশিক্ষিকা। অনন্যা আমেরিকার বাসিন্দা। বিয়ের পর বিঘ্নেশের সঙ্গে তিনিও দুবাইতেই থাকবেন। বিঘ্নেশের বাবা বিশ্বনাথন বলেছেন, ‘‘আমার ছেলের বয়স ২৭ এবং ওর সমবয়সি সব বন্ধুদের বিয়ে হতে দেখে ওরও বিয়ে করার ইচ্ছে হয়। ও আমাদের নিজের ইচ্ছের কথা ‌খুলে জানায়।’’

বিয়ের সম্বন্ধ নিয়ে আসেন বিঘ্নেশের বোন জননী বিশ্বনাথন। জননী লন্ডনে অনন্যার বোন অশনি সাওয়ান্তের সঙ্গে পড়াশোনা করেন। এক বছর আগে দুই পরিবারের মধ্যে কথাবার্তা শুরু হয়। তিন দিন ধরে গান-বাজনা-নাচের মধ্যে দিয়ে বিয়ের মেহন্দি, সঙ্গীত ও বিয়ের অনুষ্ঠানগুলি সম্পূর্ণ হয়। অনন্যার মা বলেন, ‘‘আমেরিকাতেও এই ধরনের বিয়ে খুব বেশি হয় না। বিশেষ চাহিদাযুক্তদের জন্য ডেটিং অ্যাপ পরিষেবা রয়েছে, তবে সেগুলিও খুব সীমিত। বিশেষ চাহিদাযুক্ত তরুণ-তরুণীদের খুব বেশি অবহেলার নজরে দেখা হয় সেখানেও।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement