গ্রাফিক— আনন্দবাজার অনলাইন
শুধু দু’টি মাস বাদ। তা-ও মূলত বর্ষার সময় টুকুই। জুন আর জুলাই। যে সময়ে সাধারণত বাঙালি বড় একটা বেড়াতে যায় না। তা ছাড়া, নতুন বছরের বাকি ১০ মাসের মধ্যে ন’টি মাসেই থাকছে সপ্তাহান্তে অন্তত তিন দিনের জন্য কোথাও বেরিয়ে পড়ার সুযোগ! কোনও কোনও মাসে মাঝে একটি দিনের ছুটি নিয়ে নিতে পারলে তা ন’দিনের লম্বা ছুটিতেও গিয়ে দাঁড়াতে পারে। বেড়িয়ে আসা যেতে পারে খানিক দূরের কোনও জায়গা থেকে। সঙ্গে ‘বোনাস’ দুর্গাপুজোর ৫ দিনের ছুটি। কারণ, এ বছর ষষ্ঠী পড়েছে রবিবার।
নতুন বছর অনেক রকম অনিশ্চয়তা নিয়ে আসে। ৩৬৫টি দিন ভাল কাটবে না কি মন্দ— তার নিয়ন্ত্রণ কারও হাতে থাকে না। তবে বছরভর কতটা আনন্দ নিজের ভাগে সাজিয়ে রাখবেন, তার নিয়ন্ত্রণ আপনারই হাতে। অফিস, কাজ, ব্যস্ততার ফাঁকে কয়েকটা ছুটির দিনই খুলে দিতে পারে সেই আনন্দযাপনের জানলা।
কথায় আছে পরিকল্পনার কোনও বিকল্প হয় না। সারা বছরে কী কী ছুটি আপনার হাতে রয়েছে জানা থাকলে আগে থেকেই সাজিয়ে রাখতে পারেন পরিকল্পনা। সেই পরিকল্পনা একলা বেরিয়ে পড়ার হতে পারে। আবার পরিবার-পরিজন বা প্রিয়জনের সঙ্গে সময় কাটানোরও হতে পারে। ২০২৫-এর যাত্রা শুরুর আগেই তাই রইল বছরের ন’টি দীর্ঘ সপ্তাহান্তের খোঁজ। যাতে নতুন বছরে পা দেওয়ার আগেই গুছিয়ে নেওয়া যায় সারা বছরের আনন্দ যাপনের মুহূর্তগুলি।
জানুয়ারি
অফিসে একটি ছুটি নিয়ে নিতে পারলে জানুয়ারিতেই হাতে পেতে পারেন চার দিনের ছুটি। শীতে দিব্যি শান্তিনিকেতন কিংবা পুরুলিয়ার মতো জায়গা থেকে ঘুরে আসা যেতে পারে। ১৪ জানুয়ারি মকর সংক্রান্তির ছুটি। তার ঠিক এক দিন আগেই ১১ এবং ১২ জানুয়ারি হল শনি এবং রবিবার। ১৩ তারিখ ছুটি নিলেই প্ল্যান রেডি।
ফেব্রুয়ারি
ফেব্রুয়ারিতে ৫ দিনের ছুটি পেতে পারেন। তবে তার জন্য ২৪ এবং ২৫ ফেব্রুয়ারি ছুটি নিতে হবে। ২২-২৩ ফেব্রুয়ারি শনি এবং রবিবার। ২৬ তারিখ শিবরাত্রির ছুটি।
মার্চ
মার্চেও ৩ দিনের ছুটির থাকছে। ক্যালেন্ডার অনুযায়ী দোল পড়েছে ১৪ মার্চ। শুক্রবার। তার পরের শনি-রবি মিলিয়ে বসন্তের ছুটি কাটিয়ে আসতে পারেন শিমুল-পলাশে ঘেরা কোনও রঙিন গ্রামে।
এপ্রিল
১৮ তারিখ গুড ফ্রাইডে। তার পরের শনি এবং রবিবারের সপ্তাহান্ত থাকছে।
মে
১ মে শ্রমিক দিবস এ বার পড়েছে বৃহস্পতিবার। শুক্রবারের একটি ছুটি নিতে পারলে চার দিনের ছুটি পাওয়া যাবে মে মাসেও।
অগস্ট
১৫ অগস্ট স্বাধীনতা দিবস। ক্যালেন্ডারে শুক্রবার। শনি-রবি মিলিয়ে সেই সপ্তাহান্তেও তিন দিনের ছুটি।
সেপ্টেম্বর
পুজো এ বার এগিয়ে এসেছে সেপ্টেম্বরেই। বাংলায় পুজোর টানা ছুটি অফিস কাছারিতে পাওয়া যায় ৪ দিন। সপ্তমী-অষ্টমী-নবমী-দশমী। এ বছর তার সঙ্গে ষষ্ঠীও থাকছে। কারণ ২৮ সেপ্টেম্বর ষষ্ঠী পড়েছে রবিবার। তার পরে সেপ্টেম্বরের ২৯ এবং ৩০ তারিখ থাকছে পুজোর ছুটি।
অক্টোবর
পুজার ছুটি থাকবে অক্টোবরের শুরুতেও। ১ অক্টোবর নবমী। ২ অক্টোবর বিজয় দশমী। এর পরে শুধু ৩ অক্টোবর শুক্রবার ছুটি নিতে পারলে শনি-রবি পেরিয়ে একেবারে সোমবার পর্যন্ত ছুটি পাকা। কারণ সোমবার ৬ অক্টোবর পড়েছে লক্ষ্মীপুজো। সব মিলিয়ে সেপ্টেম্বরের শেষ আর অক্টোবরের শুরু মিলিয়ে ন’দিনের ছুটি পাওয়া যেতে পারে। যাঁরা পুজোতে কলকাতার ভিড় এড়াতে চান, তাঁরা ওই ছুটিতে দূরে কোথাও ঘুরে আসতে পারেন।
নভেম্বর
গুরু নানক জয়ন্তী ৫ নভেম্বর। বুধবার। মাঝে সোম আর মঙ্গলবার ছুটি নিলে আগের সপ্তাহান্ত মিলিয়ে আবার পাঁচ দিনের ছুটি পাওয়া যেতে পারে নভেম্বরে।
ডিসেম্বর
এক দিনের ছুটি নিলে ডিসেম্বরেও চার দিনের ছুটি পাওয়া যেতে পারে। কারণ ২৫ ডিসেম্বর বড়দিন পড়েছে বৃহস্পতি বার। মাঝে ২৬ ডিসেম্বর ছুটি পেলে ২৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত বর্ষশেষের ছুটি।