চুল কাটুন কিছু সমস্যা নজরে এলেই। ছবি: আইস্টক।
ছোট চুল ট্রেন্ডি হলেও এক ঢাল লম্বা চুলের কদর কখনও নষ্ট হবে না। বরং লম্বা ঘন চুলের নেশায় অনেকেই চুলে কাঁচি চালাতে ভয় পান। এমনিতই চুল বাড়ে দেরিতে, তাই যাঁরা লম্বা চুল পছন্দ করেন তাঁদের কাছ ঘন ঘন চুল কাটা খুব একটা পছন্দের কাজ নয়।
কিন্তু নিয়ম উল্টো কথা বলছে। রূপবিশেষজ্ঞদের মতে, চুলের বৃদ্ধির জন্যই আসলে চুল কাটা প্রয়োজন। নইলে চুলের গোড়া ফাটা, চুল রুক্ষ হওয়ার ঝ়ঞ্ঝাট কিছুতই এড়াতে পারবেন না। সময় মতো চুল না কাটলে চুলের বাড়বৃদ্ধিতেও সমস্যা আসতে বাধ্য। ফলে চুলের যত্নে এটি বিশেষ প্রয়োজন।
তা বলে কখনওই ভাববেন না, কেবল চুল বেড়ে গেলেই কাটার প্রয়োজন হয়। বরং চুলে কাঁচি চালানো দরকার আরও নানা কারণে। অনেকেই ভাবেন, তিন মাস অন্তর চুল কাটা দরকার। কিন্তু প্রত্যেকের চুলের ধরনে পার্থক্য থাকে। তাই এই নিয়ম সকলের জন্য সমান কাটে না। তবে তবে কয়েকটি বিশেষ লক্ষণ দেখলেই বোঝা যায়, এবার চুল ছাঁটার সময় এসেছে।
আরও পড়ুন: জেল্লাদার ও পরিষ্কার মুখ চান? এই উপায়ে মাত্র এক মিনিটই যথেষ্ট
হেয়ারকাটের শেপ নষ্ট হয়েছে বুঝলে চুল কাটুন ফের।
সবচেয়ে বড় লক্ষণ হল চুলের ডগা ফাটা। চুলের ডগা ফাটলে বা গিঁট পড়ে গেলে বুঝবেন চুলের স্বাস্থ্য মোটেই ভাল নেই। অগত্যা এ বার কাঁচি চালানো দরকার। চুলের স্বাস্থ্য খারাপ হলে গোছা গোছা চুলও উঠবে। সে শ্যাম্পু করার সময়েও হতে পারে বা চুলের ক্লিপ খোলার সময়েও ঘটতে পারে। চুল ওঠার এই প্রবণতা কিন্তু খুবই অস্বাস্থ্যকর। এর থেকে বাঁচতে অবশ্যই চুল কাটা প্রয়োজন। সকলেরই চুলে কোনও নির্দিষ্ট ছাঁট থাকে। কিন্তু এই চুলের ছাঁট সব সময়ে এক থাকে না। যত দিন যায় হেয়ারকাটের শেপ নষ্ট হতে থাকে। ফলে দেখতে ভাল লাগে না। এই লক্ষণ ইঙ্গিত দেয় যে এবার চুল কাটতে হবে।
আরও পড়ুন: সারা দিনের ক্লান্তি ভুলতে চান? এড়িয়ে চলুন সহকর্মীদের!
চুল বহু দিন ধরে না ছাঁটলে চুলে জট পড়ে যায়। যতই চুল আঁচড়ে পরিপাটি রাখার চেষ্টা করুন, চুল ঘেঁটে একসা। এমনই জট পড়ছে যে ঘুম থেকে উঠে চুল আঁচড়ানোও যন্ত্রণাদায়ক হয়ে উঠছে। এ ক্ষেত্রে অবশ্যই চুল ছাঁটা উচিত। চুলের ডগা পাতলা হয়ে যায় অনেক দিন চুল না কাটলে। ধরুন আপনি পনিটেল বা বিনুনি করলেন। চুলের ডগা পাতলা হয়ে গেলে দেখতে মোটেই ভাল লাগবে না। এ ক্ষেত্রে চুলের ডগা থেকে কয়েক ইঞ্চি ছেঁটে ফেলাই সমাধান।