‘বাদশাহ’-র নবাবি খানা। ছবি- সংগৃহীত
১৯৯২ সালে ‘দিওয়ানা’ দিয়ে শুরু। বড় পর্দায় সেই থেকে চলছে তাঁর বলিউড এক্সপ্রেস। ২ নভেম্বর, ৫৭ বছরে পা দিলেন কিং খান। এত বছরের যাত্রাপথে চড়াই-উতরাই এসেছে অনেক। কিন্তু তাঁর জনপ্রিয়তা অনুরাগীদের কাছে আজও অম্লান। ‘ডিডিএলজে’-র ‘রাজ মালহোত্রা’ থেকে ‘জব তক হ্যায় জান’-এর ‘সমর আনন্দ’— সব বয়সেই তিনি এমনই সাবলীল।
এমন চেহারা ধরে রাখতে অভিনেতা, অভিনেত্রীদের যথেষ্ট সংযম করে চলতে হয়। এ-ও এক অধ্যবসায়। তবু খাদ্যরসিক শাহরুখ সুযোগ পেলেই চেখে দেখেন তাঁর পছন্দের খাবারগুলি। সময় পেলে রান্নাও করেন।
ভক্ত হিসাবে নিশ্চয়ই জানতে ইচ্ছে হয়, পছন্দের নায়ক কী খেয়ে এমন নায়কোচিত চেহারা ধরে রেখেছেন?
দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র, শাহরুখের প্রিয় খাবার ছোলে ভাটুরে এবং জিলিপি। সেই কলেজের সময় থেকেই দিল্লির এই বিশেষ খাবারটিতে মন মজেছে বাদশাহর।
সাধারণ মানুষ হোক বা তারকা, সকলেরই এমন কিছু খাবার থাকে যা তাঁদের কাছে ‘কমফোর্ট ফুড’। নামি দামী রেস্তরাঁর খাবার নয়, একদম বাড়িতে তৈরি ডাল, ভাত এবং কাঁচা পেঁয়াজই কিং খানের ‘আলটিমেট কমফোর্ট ফুড’।
রোজের খাবার তালিকা থেকে প্রাতরাশ বাদ দেওয়া মোটেই ভাল অভ্যাস নয়। কিন্তু নানা ব্যস্ততার মাঝে প্রায়শই দিনের প্রথম খাবার বাদ পড়ে যায় শাহরুখের। কিন্তু মাঝে মধ্যে সকালের জলখাবার খেলে, তাঁর পাতে থাকে কমলালেবুর রস এবং ডিমের সাদা অংশটি।
শাহরুখের পছন্দ ‘হায়দরাবাদি মাটন বিরিয়ানি’। ছবি- সংগৃহীত
মায়ের হাতের সবচেয়ে প্রিয় খাবার মানেই শাহরুখের পছন্দ ‘হায়দরাবাদি মাটন বিরিয়ানি’। মা না থাকলেও, হায়দরাবাদের এই মাটন বিরিয়ানির গন্ধে ফিরে ফিরে আসে মায়ের স্মৃতি।
কলেজে পড়ার সময়, বাবা-মায়ের কাছ থেকে সামান্য হাত খরচ নিয়ে নিজের শখ মেটাতে হয় অনেক পড়ুয়াকেই। একেবারেই সাধারণ মধ্যবিত্ত পরিবারে বেড়ে ওঠা শাহরুখের ক্ষেত্রেও তার অন্যথা হয়নি। দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় থেকেই তাঁর পছন্দের খাবার ছিল ক্যান্টিনের ‘ব্রেড পকোড়া’।
শাহরুখের ‘চিকেন’ প্রীতির কথা অনেকেই জানেন। মুরগির বিভিন্ন পদের মধ্যে থেকে তন্দুরি চিকেন তাঁর সবচেয়ে পছন্দের পদ।
বাদশাহ শুধু যে খেতে ভালবাসেন, তা কিন্তু নয়। অভিনয়ের পাশাপাশি রান্নাতেও যথেষ্ট পটু শাহরুখ। ইটালির বিখ্যাত সব পাস্তার পদ, স্প্যাগেটি, পেপার চিকেন রান্না করা, তাঁর বাঁহাতের খেলা।
মিষ্টি জাতীয় খাবার খুব একটা পছন্দ না করলেও স্ত্রী গৌরীর তৈরি মিষ্টি পদ না খেয়ে ফিরিয়ে দেবেন, এমন মানুষ শাহরুখ নন।