ত্বকের নানাবিধ সমস্যা রুখে দেওয়ার জন্য সর্ষের তেল একাই একশো। ছবি: সংগৃহীত।
স্নান করার আগে সুগন্ধি তেল মেখেছেন। স্নানের পরে ময়েশ্চারাইজ়ার মাখতেও ভোলেননি। তা-ও ঘণ্টাখানেকের মধ্যে চামড়ায় নখ লাগলেই সাদা দাগ হয়ে যাচ্ছে। তাপমাত্রার পারদ পড়তে থাকলেই চামড়ায় টান অনুভব করেন অনেকে। হাত, পা, ঠোঁট ফাটতে শুরু করে। দেহের অন্যান্য অংশও খসখসে হয়ে যায়। ক্রিম বা সুগন্ধি অন্যান্য তেল মাখলে সাময়িক উপকার হয়। কিন্তু তার প্রভাব বেশি ক্ষণ স্থায়ী হয় না। তবে, যে তেলটি ছাড়া বাঙালির হেঁশেল একেবারে অচল, সেই তেলটিই ত্বকচর্চায় কাজে আসতে পারে। ঘনত্ব বেশি, চটচটে এই তেল গায়ে মাখলে পোশাক নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কাও থাকে। তা সত্ত্বেও ত্বকের নানাবিধ সমস্যা রুখে দেওয়ার জন্য সর্ষের তেল একাই একশো।
১) শুষ্ক ত্বকের সমস্যায়
শীত পড়তে না পড়তেই চামড়ায় টান ধরতে শুরু করেছে? ঠোঁটের মতোই হাত-পায়ের চামড়া ফেটে যাচ্ছে? এই ধরনের সমস্যা থেকে রেহাই দিতে পারে সর্ষের তেল। এর মধ্যে থাকা ফ্যাটি অ্যাসিড, ত্বকের প্রাকৃতিক তেল এবং আর্দ্রতা— দুই ধরে রাখতে সাহায্য করে। ফলে শুষ্ক বাতাস চট করে ত্বকের আর্দ্রতা চুরি করে নিতে পারে না।
২) প্রদাহ দূর করে
ঠান্ডা, শুষ্ক আবহাওয়ায় ত্বকের সমস্যা বেড়ে যায়। এগ্জ়িমা, সোরিয়োসিসের মতো সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। পছন্দের যে কোনও ময়েশ্চারাইজ়ারের সঙ্গে কয়েক ফোঁটা সর্ষের তেল মিশিয়ে নিন। দেহের যে অংশগুলি বেশি খসখসে, সেখানে মেখে ফেলুন এই সর্ষের তেল এবং ক্রিমের মিশ্রণ।
৩) রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে তোলে
ত্বকের কোষে রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে তুলতে নিয়মিত মাখতে হবে সর্ষের তেল। কোষের মধ্যে অক্সিজেনের পরিমাণ বাড়িয়ে তুলতে এবং পেশির নমনীয়তা ফিরিয়ে আনতেও সাহায্য করে উষ্ণ সর্ষের তেল। রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে হালকা গরম সর্ষের তেলের মালিশ অনিদ্রাজনিত সমস্যা দূর করতেও সাহায্য করে।
বুকে জমা সর্দিকাশিতে আরাম দেয় সর্ষের তেলের মালিশ। ছবি: সংগৃহীত।
৪) সর্দিকাশিতে আরাম দেয়
বুকে জমা সর্দিকাশিতে আরাম দেয় সর্ষের তেলের মালিশ। ঘুমোনোর আগে সর্ষের তেল সামান্য গরম করে, বুক-পিঠে মেখে নিলে সর্দিকাশির থেকে রেহাই মেলে। শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে সমস্যা হলে তাতেও আরাম মেলে।
৫) ফাটা ঠোঁটের যত্নে
শীতকালে ফাটা ঠোঁট নিয়ে চিন্তায় পড়েন অনেকেই। দিনের অর্ধেক সময়ে ঠোঁটে লিপবাম ঘষতেই চলে যায়। কিন্তু ঘুমোতে যাওয়ার আগে একটু সর্ষের তেল ঠোঁটে মেখে নেওয়ার অভ্যাস করতে পারলে এ ধরনের সমস্যা থেকে রেহাই মেলে। সর্ষের তেলের মধ্যে থাকা ময়েশ্চারাইজ়ার ঠোঁট পেলব রাখতে সাহায্য করে।