স্বাস্থ্যের কথা ভেবে অভ্যাসে বদলাবেন কী ভাবে? ছবি: সংগৃহীত।
বয়স নির্বিশেষে দাঁত দিয়ে নখ কাটার বদভ্যাসর কমবেশি অনেকেরই থাকে। চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় একে বলে ‘ওনিকোফেজিয়া’। ছোটবেলা থেকে শুরু হওয়া এই বদভ্যাস বড় হয়ে যাওয়ার পরেও অনেকেই ছাড়তে পারেন না। বিরক্তি ভাব, একঘেয়েমি, মানসিক উদ্বেগ বা খুব মনোযোগী হয়ে কাজ করার সময়ে অজান্তেই অনেকের নখ দাঁতের কাছে চলে যায়। এই অভ্যাস সাময়িক ভাবে তৃপ্তি দিলেও শরীরের জন্য তা একেবারেই ভাল নয়।
নখে সবচেয়ে বেশি ব্যাক্টেরিয়া থাকে। দাঁত দিয়ে নখ কাটার ফলে সেই ব্যাক্টেরিয়া মুখে চলে যায়। যার থেকে পেটের সংক্রমণ হতে পারে। দাঁত দিয়ে নখ খাওয়ার অভ্যাস বাচ্চাদের মধ্যে বেশি করে দেখা যায়। এতে দাঁতের গঠন নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। বাড়ির বড়দের এই বিষয়টি নজরে রাখা উচিত। দাঁত দিয়ে নখ কাটার ফলে নখের স্বাভাবিক সৌন্দর্যও নষ্ট হয়ে যায়।
এই বদভ্যাস রোধ করতে কী করবেন?
১) নখ বড় থাকলেই দাঁত দিয়ে নখ কাটার প্রবণতা বৃদ্ধি পায়। তাই নখ ছোট করে কাটুন। বড় নখে ময়লাও বেশি জমে। ছোট নখ হলে সে ভয় থাকে না।
২) নখে নেলপালিশ পরে থাকুন। তা হলে দাঁত দিয়ে নখ কাটতে গেলেই নেলপালিশের তিক্ত স্বাদ পেয়ে সেই কাজ থেকে বিরত থাকবেন।
৩) নখে মাঝেমাঝে ম্যানিকিয়োর করান। অতি যত্নে গড়ে তোলা নখ দাঁত দিয়ে কেটে ফেলার আগে আপনি নিজেই দু’বার ভাববেন।
অন্যমনস্ক থাকলে দাঁত দিয়ে নখ কাটার মতো কয়েকটি বদভ্যাসের জন্ম হয়। ছবি: শাটারস্টক।
৪) অন্যমনস্ক থাকলে দাঁত দিয়ে নখ কাটার মতো কয়েকটি বদভ্যাসের জন্ম হয়। মন সচেতন রাখুন। এটা একটা দীর্ঘ অভ্যাসের ব্যাপার। অসম্ভব কিছু নয়। অভ্যাস বদলাতে সময় লাগে। তবে ধৈর্য ধরে তা মেনে চললে সফল হবেন।
৫) দাঁত দিয়ে নখ কাটার নেপথ্যে একটি কারণ হল কোনও কারণে তৈরি হওয়া মানসিক চাপ বা উদ্বেগ। মানসিক চাপ কমাতে ধ্যান, প্রাণায়াম, যোগাসন করুন। এতে শরীর ও মন দুই-ই ভাল থাকবে।