প্রতীকী ছবি।
পাঁঠার মাংস থেকে মুসুরডাল— তালিকাটা খুব ছোট নয় কিন্তু! ইউরিক অ্যাসিড বাড়লে সাধের অনেক খাবারই জীবন থেকে বর্জন করতে হয়। আর না মানলে, অনিবার্য গাঁটের ব্যথা! কিন্তু এর মানে কি আজীবন ওষুধ খেয়ে যেতে হবে? কিন্তু বিশেষজ্ঞেরা বলছেন, তার দরকার নেই। ঘরোয়া কিছু উপায়েই সারতে পারে ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা।
কী করবেন?
ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা কমাতে রোজ অন্তত ৪৫ মিনিট শরীরচর্চা করতে হবে। এর পাশাপাশি সারাদিনে প্রচুর পরিমাণে জল খাওয়া দরকার। ডায়েট থেকে গম, ডাল ও মটরশুঁটি আপাতত বন্ধ করে দিন। রাতে ভারী খাবার খাবেন না। ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে রাখতে আমলা, জাম ইত্যাদি সাইট্রাসজাতীয় ফল খেতে পারেন। কোনও রকমের মানসিক চাপ বা উদ্বেগকে প্রশ্রয় দেবেন না। প্রতিদিন রাতে ৬ থেকে ৮ ঘণ্টা করে ঠিকমতো ঘুমোন। এইগুলি মেনে চলার পাশাপাশি আপনার ইউরিক অ্যাসিড কমানোর মোক্ষম অস্ত্র হিসেবে কাজ করবে গুলঞ্চ। আয়ুর্বেদের মতে ইউরিক অ্যাসিড কমানোর এর চেয়ে ভাল ওষুধ আর নেই।
আয়ুর্বেদের মতে ইউরিক অ্যাসিড কমানোর ক্ষেত্রে গুলঞ্চর চেয়ে ভাল ওষুধ আর নেই।
কী ভাবে সেবন করবেন গুলঞ্চ?
বাড়িতে গুলঞ্চ গাছ থাকলে তার পাতা এবং কিছু ডাল কেটে সারারাত জলে ভিজিয়ে রেখে দিন। পরের দিন সকালে এগুলি গুঁড়িয়ে নিয়ে ১ গ্লাস জলে সিদ্ধ করতে দিন। জলের পরিমাণ অর্ধেক হয়ে গেলে ছেঁকে নিয়ে পান করুন। এই ভাবে খেতে না চাইলে গুলঞ্চের রস কিংবা গুলঞ্চের গুঁড়ো করেও খেতে পারেন।