টক দই ভাল রাখার টোটকা। ছবি: সংগৃহীত।
ঘূর্ণিঝড় রেমাল তেমন দামাল রূপ ধারণ করেনি। যেটুকু খেলা দেখিয়েছে, তাতেই শহরের বিস্তীর্ণ এলাকা জলমগ্ন। নানা জায়গায় গাছ পড়ে ছিঁড়ে গিয়েছে হাই ভোল্টেজ তার। গত রাত থেকে শহরের বিস্তীর্ণ এলাকা বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন। জেনারেটর কিংবা পাওয়ার ব্যাকআপ দিয়ে কিছু ক্ষণের জন্য জরুরি কাজ করা গেলেও ফ্রিজ চালানো যাচ্ছে না। অন্যান্য সব খাবার একটু একটু করে শেষ করা গেলেও বেশ অনেকটা পরিমাণে টক দই রয়ে গিয়েছে। লোডশেডিংয়ের মধ্যে দীর্ঘ ক্ষণ ফ্রিজে দই রেখে দিলেও তা ভাল থাকবে না। উল্টে টক দই থেকে আরও টকসা গন্ধ বেরোবে। দুধ থেকে দই হওয়ার সময়ে ল্যাক্টোজ় পরিণত হয় ল্যাক্টিক অ্যাসিডে। যার ফলে দইয়ের স্বাদ স্বাভাবিক নিয়মেই হালকা টক হয়ে যায়। কিন্তু, দই পাতার পর তা সঠিক ভাবে রাখতে না পারলে তার মধ্যে ক্ষতিকর ব্যাক্টেরিয়া বাসা বাঁধতে শুরু করে। তখন ওই দই থেকে টক গন্ধ বেরোতে শুরু করে।
তবে পুষ্টিবিদেরা বলছেন, শুধু রাখার দোষে টক দই নষ্ট হয়, এমনটা নয়। দইয়ের উপকরণে বা পাতার পদ্ধতিতে ভুল থাকলেও তা নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
কী কী কারণে টক দই নষ্ট হয়ে যেতে পারে?
১) প্রথমত, যে দুধ দিয়ে দই তৈরি করা হচ্ছে, তার মান কেমন, সেটি যাচাই করে নেওয়া জরুরি। দুধ ভাল না হলে বা বেশ কয়েক দিনের পুরনো হলে দই নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
২) যে পাত্রে দই বসানো হবে, সেটি যেন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন হয়। তেমন হলে দই পাতার আগে ফুটন্ত গরম জলে সেই পাত্রটি ভাল করে ধুয়ে নিতে হবে।
৩) দই পাতার পর তা সঠিক ভাবে সংরক্ষণ করা জরুরি। দই বায়ুরোধী পাত্রে রাখাই ভাল। সঠিক পদ্ধতিতে না রাখলে দই নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
কী ভাবে রাখলে দই ভাল থাকবে?
লোডশেডিং হওয়ার পর ফ্রিজে রাখা দই বার করে দীর্ঘ ক্ষণ এমনি ফেলে রাখলে নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। হয় নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে দই খেয়ে নিতে হবে, না হলে সঠিক ভাবে সংরক্ষণ করতে হবে। তার জন্য সবচেয়ে ভাল হয় মাটি বা সেরামিকের পাত্রে দই রাখলে। কানা উঁচু থালায় জল নিয়ে তার মধ্যে টক দইয়ের পাত্রটি বসিয়ে রাখতে পারেন। তাতে টক দই দীর্ঘ ক্ষণ ভাল থাকবে। কিন্তু এমন জায়গায় রাখতে হবে, যেখানে খুব বেশি রোদ বা আলো না আসে। হেঁশেলে গ্যাস অভেনের আশপাশেও টক দই রাখা যাবে না।