লেবু চা বমির প্রবণতা অনেকটাই কম করতে পারে।
দেশজুড়ে শুরু হয়ে গিয়েছে কোভিড টিকাকরণের তৃতীয় পর্ব। ১৮ থেকে ৪৫ বছর বয়সিরাও এখন প্রতিষেধক নিতে পারছেন। কিন্তু অনেকেই প্রতিষেধকের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় ভয় পাচ্ছেন। প্রথমেই বলে রাখা ভাল, টিকাকরণের পর যদি হালকা জ্বর, ক্লান্তি, গায়ে ব্যথা বা বমির প্রবণতার মতো কিছু পার্শপ্রতিক্রিয়া দেখতে পান, তা হলে জানবেন সেটা সুখবর। কারণ তার মানে, আপনার শরীরে প্রতিষেধক কাজ করছে। এই উপসর্গগুলি অনেকটাই কোভিডের সঙ্গে মিলে যায়। সাধারণত ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে মিলিয়েও যায়। তবে এই পার্শপ্রতিক্রিয়াগুলি সামান্য অস্বস্তিকর হতে পারে। তাই কী করে রেহাই পাবেন, জেনে নিন।
ব্যথা কমানোর ওষুধ
প্রতিষেধক নেওয়ার পর হাতে (যেখানে টিকা দেওয়া হয়েছে) ব্যথা হতে পারে। সারা গায়েও ব্যথা অনুভব করতে পারেন। ব্যথা কমানোর ওষুধ নিলে প্রতিষেধকের প্রভাব কমে যাবে, এমন কোনও বৈজ্ঞানিক তথ্য এখনও আমাদের সামনে আসেনি। তবে ডাক্তাররা মনে করছেন, টিকাকরণ হওয়ার পরই কোনও পেনকিলার না নেওয়াই শ্রেয়।
জ্বর
অনেকেরই হালকা জ্বর হচ্ছে টিকা নেওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে। বিশেষ করে দ্বিতীয় ডোজের পর। প্যারাসিটামল নিয়ে জ্বর কমাতেই পারেন। তবে ওষুধ না খেতে চাইলে জলপট্টি দিলেও সাময়িক ভাবে আরাম পাবেন।
বমির প্রবণতা
টিকা নেওয়ার পর একটু বমি বমি ভাব হওয়াটাও অস্বাভাবিক নয়। লেবু-জল, আদা চা বা পিপারমেন্ট টি খেলে অনেকটাই ভাল লাগবে। কী খাচ্ছেন খেয়াল রাখুন। খুব তেল-মশলা দেওয়ার রান্না বা প্রসেস্ড ফুড টিকা নেওয়ার পর কয়েকদিন না খাওয়াই ভাল। প্রচুর পরিমাণে জল খাওয়াও দরকার। শরীরের ক্লান্তি ভাব কমবে। জলের পাশাপাশি, ফলের রস, ঘোল, ডাবের জল, লস্যি, ফল-সব্জির স্মুদিও খেতে পারেন। ডিহাইড্রেশন যাতে কোনও মতেই না হয়, সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে।
কোভিড-আর্ম
যে হাতে টিকা দেওয়া হচ্ছে, সেই হাতটি কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ফুলে ব্যথা হতে পারে। একে বলা হচ্ছে কোভিড-আর্ম। ব্যথা দূর করতে বরফ লাগাতে পারেন। হাতের ফোলা ভাব বা র্যাশ কমবে বরফ লাগালে। হাত যাতে শক্ত না হয়ে যায়, তাই একটু একটু করে হাত নাড়ানো প্রয়োজন। হাতের কিছু সহজ স্ট্রেচিংয়ের ব্যায়াম করতে পারেন।
গায়ে ব্যথা
ক্লান্তি ভাব বা গায়ে ব্যথা কমানোর জন্য অল্প গরম জলে নুন মিশিয়ে স্নান করুন। দিনের শেষে এক গামলা গরম জল করে তাতে বাথ সল্ট দিয়ে পা ডুবিয়ে রাখতে পারেন।
শরীরচর্চা
টিকাকরণের পর হালকা ব্যায়াম বা যোগ ব্যায়াম করলেও উপকার পাবেন। তবে মনে রাখবেন, শরীরকে বিশ্রাম দেওয়া প্রয়োজন। টানা ঘুম, পর্যাপ্ত বিশ্রাম এবং কিছু নিঃশ্বাসের ব্যায়াম দরকার। তাড়াহুড়ো করে কঠিন শরীরচর্চা শুরু করে দেবেন না।