দোলের উৎসবকে ঘিরে কচিকাঁচাদের উৎসাহ আর আনন্দ বিপুল। ছবি: সংগৃহীত।
দোলের উৎসবকে ঘিরে কচিকাঁচাদের উৎসাহ আর আনন্দ বিপুল। বাজারে গেলেই লাল, নীল, সবুজ রঙের আবিরের ছড়াছড়ি। তবে এই সব আবিরে ব্যবহৃত ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ শিশুদের কোমল ত্বক ও চোখের মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে। তা হলে উপায়? বাজারে এখন বিভিন্ন সংস্থার ভেষজ আবির কিনতে পাওয়া যায় বটে, তবে সাধারণ রঙের তুলনায় ভেষজ আবিরের দাম হয় আকাশছোঁয়া। দাম দিয়ে কিনলেই তো আর হল না! ভেষজ রং বলে যেগুলি বাজারে বিক্রি হচ্ছে, সেগুলি আদৌ প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে তৈরি হচ্ছে কি? এই প্রশ্নের সদুত্তর পাওয়া মুশকিল! তাই এর বিকল্প হিসাবে এ বার হেঁশেলের উপকরণ দিয়েই বানিয়ে ফেলতে পারেন ভেষজ রং। খুদের স্বাস্থ্যের কথা ভেবে না হয় একটু সময় খরচ করলেন! জেনে নিন, কোন রং কী ভাবে বানাবেন।
১) হলুদ
হলুদ আর বেসন মজুত থাকে সব বাঙালি হেঁশেলেই। চার ভাগ বেসন ও এক ভাগ হলুদ ভাল করে মিশিয়ে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে হলুদ রং। বেসন না থাকলে চালের গুঁড়োর সঙ্গেও মেশানো যেতে পারে হলুদ। অমলতাস কিংবা গাঁদা ফুলের পাপড়ি শুকিয়ে গুঁড়ো করে নিলেও মিলবে হলুদ রং।
২) সবুজ
পালং শাক বেটে নিন। এ বার সেই মিশ্রণটি ভাল করে ছেঁকে নিয়ে গোলাপ জলের সঙ্গে মিশিয়ে নিন। তরল মিশ্রণটি বড় ট্রে-তে রেখে এক কাপ কর্নফ্লাওয়ার ভাল করে মিশিয়ে নিন। কোনও মণ্ড যাতে না থাকে, সে দিকে নজর রাখুন। এ বার মিশ্রণটি রোদে শুকিয়ে হাতে গুঁড়ো করে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে সবুজ রং।
ভেষজ রং এ বার বানিয়ে ফেলুন হেঁশেলের উপকরণ দিয়ে। ছবি: সংগৃহীত।
৩) গোলাপি
বিটের রস তৈরি করে ভাল করে ছেঁকে নিন। এক কাপ বিটের রস নিয়ে তাতে এক টেবিল চামচ গোলাপ জল দিন। মিশ্রণটির সঙ্গে কর্নফ্লাওয়ার বা চালের গুঁড়ো খুব ভাল করে মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটি রোদে কিংবা মাইক্রোওয়েভে শুকিয়ে নিন। এ বার হাত দিয়ে ভাল ভাবে গুঁড়ো করে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে গোলাপি রং। খুব সূক্ষ্ম গুঁড়ো চাইলে মিশ্রণটি মিক্সিতেও ঘুরিয়ে নিতে পারেন।
৪) কমলা
কমলালেবুর খোসা গুঁড়ো করেই বানিয়ে ফেলতে পারেন এই রং। কমলালেবুর খোসা শুকিয়ে ভাল করে গুঁড়ো করে নিন। এ বার কর্নফ্লাওয়ার আর সামান্য হলুদ গুঁড়োর সঙ্গে মিশিয়ে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে কমলা রং।