বেকায়দায় পড়লে না, সারা বছর ভরসা থাক লবঙ্গে। ছবি: সংগৃহীত।
হেঁশেলের অন্যতম শক্তিশালী মশলা হল লবঙ্গ। গলা খুসখুস থেকে ভূরিভোজ শেষে মুখশুদ্ধি, লবঙ্গের গুণাগুণ সত্যিই বিস্মিত করে। একটানা কাশি হয়ে যাচ্ছে। একটা লবঙ্গ যদি মুখে রাখতে পারেন তা হলে নিমেষে স্বস্তি মিলবে। আবার ঠান্ডা লাগার ধাত থাকলেও লবঙ্গে সর্দি-কাশি থেকে রক্ষা করে। চিকিৎসকেদের মতে, সমস্যায় পড়লে তখন লবঙ্গের দ্বারস্থ না হয়ে মাঝেমাঝেই খাওয়া যেতে পারে। ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে লবঙ্গ বিভিন্ন ভাবে খাওয়া যেতে পারে। রইল হদিস।
ফোড়ন
ডিমের কোর্মা, বিরিয়ানি কিংবা শাহী পনিরের মতো বাহারি কিছু রান্নায় লবঙ্গ ফোড়ন দিতে পারেন। সুঘ্রাণে ভরে উঠবে গোটা বাড়ি। স্বাদও হবে আহামরি। তবে ডাল কিংবা কোনও পাঁচমিশালি তরকারিতে লবঙ্গ ফো়ড়ন দেওয়া যেতে পারে। তা হলে একসঙ্গে স্বাদ এবং স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখা সম্ভব।
মশলা চা
বর্ষার বিকালে মশলা চা বানালে তাতে কয়েকটি লবঙ্গ দিয়ে দিন। লবঙ্গ চায়ে আলাদা স্বাদ আনবে। লবঙ্গ থাকায় এই চা খেলে সংক্রমণের ঝুঁকিও কমে। গলা খুসখুসের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে থাকে।
পোলাও
রেস্তরাঁর বিরিয়ানি বিরিয়ানি, পোলাওয়ে লবঙ্গ থাকেই। বাড়িতে বানালে অনেকেই লবঙ্গ দিতে ভুলে যান। তবে মনে করে যদি লবঙ্গ দেওয়া যায়, তা হলে মন্দ হয় না। খেতে তো ভাল হয়-ই, লবঙ্গের স্বাদে ভরে যায় মনও।