প্রতীকী ছবি। ছবি: সংগৃহীত
ঝকঝকে সাদা নখ কার না ভাল লাগে? কিন্তু সব সময়ে সে রকম নখ আমরা পাই না। নখের নিয়মিত যত্ন না নিলে হলদেটে দাগ পড়ে যেতে পারে। রান্নার সময়ে খুব বেশি মশলা ঘাঁটার পর ভাল করে হাত না ধুলে নখে ছোপ পড়ে যায়। দীর্ঘ দিন ধরে এই অবহেলা করলে সেই দাগ পাকাপাকি ভাবে বসে যেতে পারে। শরীরে কোনও রকম সমস্যা থাকলেও নখের স্বাভাবিক রং বদলে যেতে পারে। তাই প্রথমেই পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খাওয়া, স্বাস্থ্যকর ডায়েট এবং হাত পরিষ্কার করে ধোওয়ার অভ্যাস তৈরি করতে হবে। তবে করোনাকালে সেটা সকলেই করছেন বলে আশা করা যায়। বাকি ঘরোয়া উপায়গুলি জেনে রাখুন।
নেশ পলিশ
নখের হলদে ছোপ দূর করার কিছু ঘরোয়া উপায় রয়েছে। দীর্ঘ সময়ে ধরে নেল পলিশ লাগিয়ে রাখলে নখ স্বাভাবিক ভাবে শ্বাস নিতে পারে না। নখের রং বদলে যেতেই পারে। তাই শুরু করুন সেখান থেকেই। নেল পলিশ রিমুভার দিয়ে ভাল করে নেল পলিশ তুলে ফেলুন। ফের নেল পলিশ লাগানোর আগে অন্তত ২৪ ঘণ্টা বিরতি দেবেন, যাতে নখ ঠিক করে শ্বাস নিতে পারে। এতে কিছুটা হলেও নখের রং স্বাভাবিক হবে।
ময়েশ্চারাইজার
মুখে বা গায়ে যেমন আর্দ্রতার প্রয়োজন, তেমনই নখেরও। তাই রোজ রাতে যখন মুখে ময়েশ্চারাইজার লাগাবেন নখে খানিকটা লাগিয়ে ভাল করে ম্যাসাজ করে নিন।
প্রতীকী ছবি।
টুথপেস্ট
দাঁত পরিষ্কার রাখতে যেমন টুথপেস্টের ব্যবহার করা হয়, তেমনই নখ ঝকঝকে করতেও ব্যবহার করতে পারেন। একটি পুরনো টুথব্রাশে সামান্য পেস্ট নিয়ে নখে ভাল করে ঘষে নিন। কিছুক্ষণ লাগিয়ে রেখে ভাল করে জল দিয়ে ধুয়ে নিন। ফারাক বুঝতে পারবেন।
লেবুর রস
লেবুতে প্রাকৃতিক ব্লিচিং এজেন্ট রয়েছে। তাই যে কোনও রকমে দাগ ছোপের ক্ষেত্রে দারুণ কাজ করে। নখে জেদি হলদে দাগ থাকলে একটু কম লেবুর রস এবং বেসন দিয়ে একটি পেস্ট বানিয়ে রাখুন। সেটা নখে লাগিয়ে কিছুক্ষণ রেখে ধুয়ে ফেলুন। বেশ কিছু দিন এই টোটকা মেনে চললে খুব তাড়াতাড়ি সুফল পাবেন।
বেকিং সোডা
ঘরের অনেক রকম জেদি দাগ দূর করতে বেকিং সোডা ব্যবহার করে থাকি আমরা। কিন্তু আপনি কি জানেন, বেকিং সোডা দিয়ে নখের হলদে ছোপও দূর করা যায়? ঈষদুষ্ণ জলে একটু বেকিং সোডা মিশিয়ে নখে লাগিয়ে রাখুন। কিছুক্ষণ পর ঠান্ডা জলে ধুয়ে ফেলে ক্রিম লাগিয়ে নিন। দেখবেন নখ ঝকঝক করছে।
অলিভ অয়েল
সুস্থ নখ থাকলে তাঁর স্বাভাবিক জেল্লা পাবেন। নখের স্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্য অলিভ অয়েলের জুড়ি মেলা ভার। একটি ইয়ার বাড অলিভ অয়েলে ডুবিয়ে নখে লাগান। নখের চার পাশেও লাগাবেন। এতে কিউটিক্ল নরম তো হবেই, ব্যকটিরিয়া বা অন্য জীবাণু দূরে থাকবে।