—প্রতীকী ছবি।
বেতন বাড়াতে বলেছিলেন। কিন্তু কর্তৃপক্ষ রাজি হননি। রেগে কর্মক্ষেত্র থেকে ছ’লক্ষ টাকা চুরি করলেন এক কর্মী। সঙ্গে চুরি করলেন বহুমূল্য বৈদ্যুতিন জিনিসপত্র। যদিও শেষরক্ষা হয়নি। ঘটনাটি ঘটেছে দিল্লির নারায়ণার একটি বাইকের শোরুমে। ওই ২০ বছর বয়সি কর্মীকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সংবাদমাধ্যম দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ধৃত যুবকের নাম হাসান খান। তিনি নারায়ণার ওই শোরুমে কারিগরি বিশেষজ্ঞ হিসাবে এক বছরেরও বেশি সময় ধরে কাজ করছিলেন। সম্প্রতি শোরুম কর্তৃপক্ষের কাছে বেতনবৃদ্ধির আবেদন করেছিলেন তিনি। কিন্তু তাঁর সেই আবেদন খারিজ করা হয়। মনে মনে বদলা নেওয়ার ফন্দি এঁটে ফেলেন তিনি। এর পর বর্ষবরণের রাতে সারা দেশ যখন আনন্দ উদ্যাপনে ব্যস্ত, তখন চুপি চুপি অফিসে ঢুকে আলমারি থেকে ছ’লক্ষ টাকা চুরি করেন তিনি। সরিয়ে ফেলেন বহুমূল্য বৈদ্যুতিন জিনিসপত্রও। দু’টি সিসি ক্যামেরাও চুরি করেন। যাতে পুলিশের হাতে ধরা না পড়েন, তার জন্য শোরুমের আলো নিভিয়ে দিয়েছিলেন হাসান। পরিচয় লুকোতে হেলমেটও পরেছিলেন।
পরদিন চুরির বিষয়টি প্রকাশ্যে এলে কর্তৃপক্ষের তরফে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ এসে কর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। হাসানের উপর সন্দেহ হয় তদন্তকারীদের। জিজ্ঞাসাবাদের সময় তাঁকে চেপে ধরতেই, তিনি সব স্বীকার করেন। এ-ও স্বীকার করেন যে, বেতনবৃদ্ধি না হওয়ার জন্যই তিনি চুরির সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। এর পরেই হাসানকে গ্রেফতার করে পুলিশ। হাসানের কাছ থেকে পাঁচ লক্ষ টাকা এবং চুরি যাওয়া দু’টি সিসি ক্যামেরা উদ্ধার করা হয়েছে বলেও খবর।
দিল্লি পুলিশের ডেপুটি কমিশনার বিচিত্রা বীরকে উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, “ধৃত নিজের পরিচয় গোপন করতে চুরি করার সময় হেলমেট পরেছিলেন। জিজ্ঞাসাবাদের সময় তিনি অপরাধের কথা স্বীকার করেছেন। এ-ও জানিয়েছেন, শোরুম কর্তৃপক্ষ বেতনবৃদ্ধির অনুরোধ না মানার কারণেই তিনি বিরক্ত হয়ে ওই কাণ্ড ঘটিয়েছিলেন।’’