গ্রীষ্মে শুধু মানুষ নয়, বাড়ির সারমেয় পোষ্যটিরও ‘হিট স্ট্রোক’ হতে পারে। এতে কুকুরটির শরীরের তাপমাত্রা মারাত্মক ভাবে বেড়ে যায়। এর ফলে তার নানা অঙ্গের ক্ষতি হতে পারে।
কুকুরের ক্ষেত্রে ‘হিট স্ট্রোক’-এর কারণ:
- চার পাশের উত্তাপ এবং আপেক্ষিক আর্দ্রতা প্রচণ্ড পরিমাণে বেড়ে যাওয়া।
- নাক, গলা বা শ্বাসনালীর সংক্রমণের কারণেও কখনও কখনও ‘হিট স্ট্রোক’ হতে পারে কুকুরের।
- বিষাক্ত কিছু খেয়ে ফেললেও অনেক সময় শরীরের উত্তাপ বেড়ে গিয়ে এই সমস্যা হয়।
কোন কোন ক্ষেত্রে সমস্যা বড় আকার নেয়:
- বয়স বেশি হলে।
- অতিরিক্ত গরমের সঙ্গে আগে পরিচয় না থাকলে।
- ওজন অত্যন্ত বেশি হয়ে গেলে।
- ফুসফুস বা হৃদযন্ত্রের সমস্যা থাকলে।
- থাইরয়েড গ্রন্থির ক্ষরণ কোনও কারণে বেড়ে গেলে।
- নাক চাপা প্রজাতির কুকুরের ক্ষেত্রে এই সমস্যা বেশি হয়।
- জল কম খেলেও এর আশঙ্কা বাড়তে পারে।
‘হিট স্ট্রোক’-এ লক্ষণ:
- এতে আক্রান্ত হলে কুকুরের শ্বাসের গতি অনেক বেড়ে যায়।
- জিভ শুকিয়ে যায়, নাকও শুকিয়ে যায়।
- শরীরের তাপমাত্রা ১০৩ ডিগ্রি ফাহরেনহাইন পর্যন্ত উঠে যেতে পারে।
- মূত্রের পরিমাণ অত্যন্ত কমে যাওয়া।
- মেজাজ খারাপ হয়ে যাওয়া, তার সঙ্গে ঝিমিয়ে পড়া।
- হৃদযন্ত্রের গতি অত্যন্ত বেড়ে যাওয়া।
কী করবেন:
আপনার পোষ্য ‘হিট স্ট্রোক’ আক্রান্ত হলে প্রথমেই চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। তারই মধ্যে চেষ্টা করতে হবে, ওকে বেশি পরিমাণে জল খাওয়াতে। আর পারলে হালকা গরম জলে তোয়ালে ভিজিয়ে নিয়ে তা দিয়ে ওকে মুড়ে দিতে হবে।