নিমেষে মাছি গায়েব করার টোটকা। ছবি: সংগৃহীত।
পরিপাটি, সাজানো-গোছানো রান্নাঘরই পারে ভোজনরসিকের সঙ্গে সুবিচার করতে। তবে সেই হেঁশেলে করা রান্না যতই ভাল হোক না কেন, খাবার পরিবেশনের পর যদি চারপাশে মাছি ভনভন করে, তা হলে কিন্তু মেজাজ বিগড়ে যায় সকলের। মুহূর্তের মধ্যে আপনার প্রিয় জায়গাটা অস্বাস্থ্যকর তো হলই। খাবারও বিষাক্ত হয়ে যাবে কিছু ক্ষণেই। কিন্তু খালি হাতে একে জব্দ করাও তো সহজ কথা নয়। তা হলে উপায়?
মাছি তার সঙ্গে একাধিক জীবাণু বহন করে। মাছি তার পা, পায়ের পাতা এবং পাখার সাহায্যে এ সব ব্যাক্টেরিয়া এক জায়গা থেকে আর এক জায়গায় খুব দ্রুত ছড়িয়ে দিতে পারে। খাবারে বসলে সাধারণ পেটের রোগ থেকে বড় ধরনের বিষক্রিয়াও হতে পারে৷ সুতরাং রান্নাঘরে তার প্রবেশ নিষিদ্ধ করতেই হবে। কী ভাবে সম্ভব? রইল মাছি তাড়ানোর মোক্ষম দাওয়াই।
রান্নাঘরে ছোট পুদিনা পাতার গাছ লাগান। পুদিনা পাতার গন্ধে মাছি পালাবে রান্নাঘর ছেড়ে। রান্নাঘরের কোণগুলিতে ভিনিগার স্প্রে করুন। ভিনিগার মাছির যম। ল্যাভেন্ডার বা লেবুর গন্ধযুক্ত এসেনশিয়াল অয়েল সপ্তাহে এক দিন স্প্রে করলেও মাছি আপনার রান্নাঘর থেকে দূরে থাকবে। দারচিনির তাজা গন্ধে কাজ দেবে ম্যাজিকের মতো। রান্নাঘরের জানলায় দু’ টুকরো দারচিনি রাখুন। জানলা থেকেই বিদায় নিতে হবে তাকে। শুকনো লেবুর খোসাও ভাল কাজ দেয়। লবঙ্গের গন্ধও মাছি সহ্য করতে পারে না। লবঙ্গ ছড়িয়ে রেখে কাজ হাসিল হতে পারে। সব থেকে ভাল উপায় পুরনো অভ্যেস ফিরিয়ে আনা। রোজ সন্ধ্যায় ধুনো জ্বালাতে পারলে সব পোকামাকড়ই চম্পট দেবে। বেশি ফল পেতে ধুনোয় কর্পূর ফেলে দিন।
এগুলো তো গেল টোটকা। রোগের প্রকোপ থেকে বাঁচতে প্রয়োজন বাড়তি সতর্কতাও। কোনও ভাবেই খাবার খোলা রাখা চলবে না। উল্টো ভাবে বললে, খোলা জায়গায় রাখা রয়েছে, এমন খাবার এড়িয়ে যাওয়াই ভাল।