এয়ার ফ্রায়ার কেনার আগে কোন বিষয়গুলি জানা দরকার? ছবি: ফ্রিপিক।
নিরামিষ হোক বা আমিষ, কম তেলে মুখরোচক নানা পদ তৈরির জন্য হেঁশেলে এয়ার ফ্রায়ারের কদর দিনে দিনে বাড়ছে। তা ছাড়া, এই যন্ত্রে সময়ও নির্দিষ্ট করে দেওয়া যায়। ফলে যে কোনও রান্না বসিয়ে ভুলে গেলেও পুড়ে যাওয়ার ভয় নেই। নির্ধারিত সময় পরে এয়ার ফ্রায়ার নিজেই বন্ধ হয়ে যাবে।
দীপাবলিতে গেরস্থালির জিনিসে বড় রকমের ছাড় পাওয়া যায়। তাই এই সময়েই কি এয়ার ফ্রায়ার কিনবেন ঠিক করেছেন? কিন্তু আপনার পরিবারের জন্য কোনটি উপযুক্ত বুঝবেন কী করে?
তার আগে জেনে নেওয়া দরকার, কম তেলে এতে রান্না হয় কী ভাবে?
এই যন্ত্র চালু হলে খুব উত্তপ্ত হাওয়া খুব জোর গতিতে ঘোরে। মিনিট ১২-১৫ লাগে ভাজার চেহারা নিতে। একেবারে ছাঁকা তেলে ভাজার মতো স্বাদ মিলবে না, এর স্বাদও সম্পূর্ণ অন্য রকম। সাম্প্রতিক সময়ে নতুন প্রজন্মের কাছে বাড়ছে এই স্বাদটির কদর।
কী কী দেখে নেবেন?
আয়তন
বাড়িতে কত জন সদস্য, ক’জনের জন্য রান্না করবেন, সেগুলি ভেবে এয়ার ফ্রায়ার কেনা প্রয়োজন। সাধারণত ৩.৭ লিটারের একটি এয়ার ফ্রায়ার চার জনের রান্নার জন্য ঠিকঠাক। তবে যদি পরিকল্পনা থাকে ঘরোয়া পার্টিতে অতিথি অভ্যাগতদের নানা পদ খাওয়াবেন, তা হলে এর চেয়ে বড়টি বেছে নিতে হবে। ৪.২, ৬.২ লিটার-সহ বিভিন্ন আয়তনের এয়ার ফ্রায়ার পাওয়া যায়।
সুরক্ষা
এয়ার ফ্রায়ার কেনার আগে দেখা নেওয়া দরকার, তাতে কী কী বৈশিষ্ট্য রয়েছে। সুরক্ষার দিকটাও ভাবা দরকার। বেশি তেতে গেলে স্বয়ংক্রিয় ভাবে তা বন্ধ হবে কি? ভিতরে বেশি গরম হয়ে গেলেও এয়ার ফ্রায়ারের বাইরের অংশ ঠান্ডা থাকবে কি না বা নিরাপত্তা জনিত আর কোনও বৈশিষ্ট্য রয়েছে কি না, দেখে নেওয়া প্রয়োজন।
তাপমাত্রা
এয়ার ফ্রায়ারের তাপমাত্রা ৩৮০ -৪০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকবে কি না, দেখে নিন। সাধারণত মাংস রান্না করতে হলে ৪০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার প্রয়োজন হয়। পাশাপাশি, সময় নির্দিষ্ট করে দেওয়ার সুযোগ-সুবিধা তাতে রয়েছে কি না, দেখে নিন।
আকার
এয়ার ফ্রায়ারটি কোথায় রাখবেন, সেই বুঝে জিনিস কিনুন। রান্নাঘরের যে অংশটি বা ঘরের যে স্থানে এয়ার ফ্রায়ার রাখতে চাইছেন, সে খানে সেটি খাপ খাবে তো? জায়গা কতটা, তার আশপাশে কতটা ছাড় রাখতে হবে দেখে নিয়ে মডেল বাছাই করুন।
সহজ ব্যবহার
এয়ার ফ্রায়ারে শুধু রাঁধলেই হবে না, তা পরিষ্কারের বিষয়টিও জানা দরকার। সাধারণত ননস্টিক সিলিকন ট্রে থাকলে কাজ সহজ হয়। গরম জলে ভিজিয়ে বাসন মাজার তরল সাবান দিয়ে এগুলি পরিষ্কার করে নেওয়া যায়।