ভোরে ঘুম ভাঙার অভ্যাস তৈরি হবে কী ভাবে? ছবি: সংগৃহীত।
পাঠ্যবইয়ের ইংরেজি ছড়াতেই পড়েছেন, তাড়াতাড়ি ঘুমানো ও ঘুম থেকে ওঠা মানুষকে স্বাস্থ্যবান, সম্পদশালী ও জ্ঞানী করে তোলে। কিন্তু ছড়ার কথা কে মনে রাখে?
তবে ভোরের ঠান্ডা হাওয়া, নরম রোদ্দুর, শিশির ভেজা ঘাসে হাঁটলে শুধু শরীর নয়, মনও ভাল থাকে। ভোরবেলা চারপাশে শব্দ থাকে না সে ভাবে। এ সময় মনও শান্ত থাকে। তাই ভোরে উঠে শরীরচর্চা করা, সকালে সময় ধরে পড়া সুঅভ্যাস। ঘুমের পর শরীর-মন তরতাজা থাকায় পড়াশোনা ভাল হয়। কিন্তু অনেকেই বলবেন, এ তো জ্ঞানের কথা। অত সকালে উঠতে গেলেই আলস্য চেপে বসে। তা হলে কী করে ভোরে ওঠার অভ্যাস তৈরি করবেন?
সময়ে ঘুম
ভোরে বা সকালে উঠতে না পারার অন্যতম কারণ রাতে দেরিতে ঘুমোনো। দীর্ঘ ক্ষণ মোবাইল দেখা। যদি প্রতি রাতে ১টায় ঘুমোতে যান, তা হলে সময় একটু একটু করে এগোতে হবে। প্রথম ধাপে ১২টার মধ্যে ঘুমোনোর চেষ্টা করতে হবে। ঘুম না এলেও ১২টার আগেই ঘরে মৃদু আলো জ্বালিয়ে বা অন্ধকার করে ঘুমোনোর চেষ্টা করতে হবে। স্নায়ুতন্ত্রকে শিথিল করতে সাহায্য করে এমন কোনও সুর চালিয়ে দিতে পারেন।
ঘড়ি ধরে ওঠা
সকাল ৯টায় ওঠার অভ্যাস থাকলে প্রথম দিনেই ভোর পাঁচটায় উঠতে গেলে কিছুতেই কাজ হবে না। ৯টার বদলে সাড়ে ৮টায় অ্যালার্ম দিন। মনকে বোঝাতে হবে, কিছুতেই অ্যালার্ম বন্ধ করে ঘুমোনো যাবে না। এ ভাবে ধীরে রাতে শোওয়ার সময় ও সকালে ওঠার সময় আধ ঘণ্টা করে এগিয়ে আনতে হবে। এক সপ্তাহ সাড়ে ৮টায় ওঠার অভ্যাস করার পরের সপ্তাহে ৮টায় উঠতে হবে। এ ভাবে ১৫ দিন কাটলে, সময় আরও একটু এগোতে হবে।
হাঁটতে বের হওয়া
সাড়ে আটটা মোটেই হাঁটতে যাওয়ার সময় নয়। তবু যদি সেই সময় উঠে ছাদে যেতে পারেন বা বাজারে চলে যেতে পারেন, তা হলে ধীরে ধীরে ভাল লাগা তৈরি হবে। ছাদে গিয়ে হালকা ব্যায়ামও করে নিতে পারেন। বাগান থাকলে গাছে জল দিতে পারেন।
মোবাইল কিছু ক্ষণ বাদ দিন
রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে মোবাইল নিয়ে বসে গেলে কিছুতেই ঘুম আসবে না। বরং মোবাইলে কোনও গল্প শুনতে পারেন। কিংবা শোওয়ার আগে বই পড়তে পারেন। আরামদায়ক পোশাক পরে ঘুমোতে যান। এই বিষয়গুলিও ঘুম আনতে সাহায্য করে।
বন্ধুবান্ধব
বন্ধুবান্ধব একসঙ্গে যদি সকালে কয়েক দিন সাইকেল নিয়ে ঘোরার পরিকল্পনা করেন, তা হলে দেখবেন, উঠতে এত কষ্ট হচ্ছে না। যে কাজে আনন্দ থাকে, সেই কাজের জন্য সহজেই অভ্যাস বদলে যায়। অভ্যাস বদলে প্রাপ্তি কী হচ্ছে, সেটা গুরুত্বপূর্ণ। না হলে কাজ হবে না।