অনলাইনে পাসপোর্টের আবেদন করবেন কী ভাবে, জেনে নিন পদ্ধতি। ছবি: ফ্রিপিক।
বিদেশযাত্রার সুযোগ এসে গিয়েছে হঠাৎ করেই। আপনি তো আহ্লাদে আটখানা। অথবা কোথাও ঘুরতে যাবেন ভাবছেন। কিন্তু পাসপোর্ট করানো নেই। ঠেকায় পড়ে সাত তাড়াতাড়ি পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে হবে। রোজের কাজ সামলে পাসপোর্ট অফিসে যাওয়ার সময় নেই আপনার। তা হলে কী করণীয়? আবেদন করতে হবে অনলাইনেই। অনলাইনে পাসপোর্ট আবেদনের পদ্ধতি যদি জানা না থাকে, তা হলে শিখে নিন। অনেকেই ভাবেন পাসপোর্ট আবেদন করার পদ্ধতি খুবই জটিল, নথিপত্র দিয়েও অনেক সমস্যার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। তা ছাড়া পাসপোর্ট তৈরির প্রক্রিয়া এবং প্রয়োজনীয় নথি সম্পর্কেও সকলের কাছে স্পষ্ট ধারণা থাকে না।
অনলাইনে আবেদনের পদ্ধতি
১) প্রথমে বিদেশ মন্ত্রণালয়ের ‘পাসপোর্ট সেবা’ ওয়েবসাইটে যেতে হবে। ২) হোম পেজে গিয়ে ‘নিউ ইউজ়ার রেজিস্ট্রেশন’ লেখা আইকনে ক্লিক করুন।
৩) সেখানে একটি ফর্ম খুলবে। সেটিতে প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে ‘রেজিস্টার’ অপশনে ক্লিক করুন।
৪) তথ্যপূরণের প্রক্রিয়া খুবই সহজ, শুধুমাত্র কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্যই আপনাকে জিজ্ঞাসা করা হবে।
৫) পাসপোর্টের জন্য রেজিস্ট্রেশনের পরে, আপনাকে একটি লগইন আইডি এবং পাসওয়ার্ড দেওয়া হবে। সেটি নিজের কাছে যত্ন করে রেখে দিন।
৬) তার পর ‘নিউ পাসপোর্ট অ্যাপ্লিকেশন’ অপশনে গিয়ে ক্লিক করুন। ৭) একটি নতুন পাতা খুলে যাবে। সেখানে আপনার নাম, ঠিকানা, জন্ম তারিখ এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পূরণ করে আবেদন জমা দিন। ৮) অনলাইনে আবেদন পূরণ করার পরে আপনাকে আপনার নিকটস্থ পাসপোর্ট সেবা কেন্দ্র বা পাসপোর্ট অফিসে যেতে হবে।
কী কী নথিপত্র জমা দিতে হবে?
ঠিকানার প্রমাণপত্র - ভোটার আইডি কার্ড, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট স্টেটমেন্ট, আধার কার্ড, বাড়ির বিদ্যুতের বিল যদি আপনার নামে হয়, তা হলে সেটি, রান্নার গ্যাসের বিল, বাড়ি যদি আপনার নামে হয় তা হলে তার প্রমাণপত্রও সঙ্গে রাখবেন।
জন্ম তারিখ প্রমাণের জন্য- জন্মের শংসাপত্র (যদিও তা জরুরি নয়), প্যান কার্ড, আধার কার্ড, ড্রাইভিং লাইসেন্স।
সম্প্রতি বিদেশ মন্ত্রক নতুন নিয়ম করেছে। আগে জন্ম তারিখের প্রমাণপত্র হিসেবে মাধ্যমিকের অ্যাডমিট কার্ড বা জন্মের শংসাপত্র বাধ্যতামূলক ছিল। এখন আধার কার্ড, প্যান কার্ড বা ভোটার কার্ডে জন্ম তারিখ লেখা থাকলে তা-ও প্রমাণপত্র হিসেবে গ্রহণ করা হবে।
আবেদনের খরচ কত?
আপনি যদি ৩৬ পাতার পাসপোর্ট চান তা হলে খরচ করতে হবে ১২০০ টাকা। ৬০ পাতার পাসপোর্ট চান, তা হলে জমা দিতে হবে ২০০০ টাকা।
টাকা জমার রসিদ, জন্ম তারিখ, ঠিকানা ও শিক্ষাগত যোগ্যতা সংক্রান্ত প্রমাণপত্র নিয়ে পাসপোর্ট অফিসে যেতে হবে। সঙ্গে রাখবেন আধার কার্ড, ভোটার কার্ড, প্যান কার্ড, বিদ্যুৎ বা গ্যাসের বিলের আসল ও ফোটো কপি। দু’টি পাসপোর্ট সাইজের ছবিও লাগবে। পাসপোর্ট অফিসে আপনার নথি জমা দেওয়ার পরে, আপনার পাসপোর্টের পরবর্তী প্রক্রিয়া শুরু হবে। আপনার দেওয়া ঠিকানা ও পরিচয়পত্র সঠিক কি না তা যাচাই করতে পুলিশি তদন্ত হবে। পুলিশ আপনার বাড়িতে আসবে এবং আপনার আশপাশের লোকজনের কাছ থেকে আপনার সম্পর্কে কিছু তথ্য চাইবে।