কন্ডোমের বাজারের সবচেয়ে বড় অংশীদার এবং তাদের সহযোগী কম্পোনিগুলি মিলিত ভাবে ‘কন্ডোম অ্যালায়েন্স’ নামে একটি দল তৈরি করেছে। কন্ডোমের ব্যবহার নিয়ে তাদের সমীক্ষার নাম ‘কন্ডোমোলজি’। ভারতে এই সমীক্ষা প্রথম বার।
‘কনজিউমার, কন্ডোম অ্যান্ড সাইকোলজি’— এই তিনটি শব্দ থেকেই তৈরি হয়েছে ‘কন্ডোমোলজি’। শুধু পরিসংখ্যান নয়, কন্ডোম নিয়ে সামাজিক এবং ব্যক্তিগত মনস্তত্ব কী ভাবে কাজ করে, তাও উঠে এসেছে এই সমীক্ষায়।
জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে, অবাঞ্ছিত গর্ভধারণ এড়াতে, সুস্থ যৌনস্বাস্থ্য বজায় রাখতে কন্ডোম ব্যবহার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই কথা বলা হয়েছে রিপোর্টে।
২০১৪-১৫ সালে দেওয়া ‘ন্যাশনাল ফ্যামিলি হেল্থ সার্ভে ৪’ (এনএফএইচএস ৪)-এর তথ্যের ভিত্তিতে সমীক্ষাটি চালিয়েছে ‘কন্ডোম অ্যালায়েন্স’।
সমীক্ষার রিপোর্ট বলছে, ২০ থেকে ২৪ বছরের পুরুষদের মধ্যে যাঁরা যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হন, তাঁদের ৮০ শতাংশই শেষ বার শারীরিক সম্পর্কের সময়ে কন্ডোম ব্যবহার করেননি।
ভারতে কন্ডোম ব্যবহারের হার মাত্র ৫.৬ শতাংশ। সামাজিক ভাবধারা এবং নীতিপুলিশির জন্য কন্ডোম ব্যবহারের হার এত কম।
বিয়ের আগে সহবাসের সময় মাত্র ২৭ শতাংশ পুরুষ এবং ৭ শতাংশ মহিলা কন্ডোম ব্যবহার করেছেন।
দেশের ৮৭% পুরুষ এবং ৯৭% মহিলা কন্ডোম ব্যবহারে আগ্রহী নন, বলছে ‘কন্ডোমোলজি’ সমীক্ষা।
রিপোর্ট দাবি করা হয়েছে সরকারি ভাবে যৌনস্বাস্থ্য এবং কন্ডোম সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির প্রচার চালানোর পরেও গত কয়েক বছরে কন্ডোম বিক্রির হার বেড়েছে মাত্র ২ শতাংশ।
এডস সংক্রমণে ভারত পৃথিবীর মধ্যে তৃতীয় স্থানে। বিপুল পরিমাণে এইচআইভি সংক্রমণের জন্যও দায়ী করা হয়েছে কন্ডোম ব্যবহারে অনীহাকেই।
রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, যৌনতার প্রশ্নে পশ্চিমের দেশগুলির যুবক-যুবতীদের সঙ্গে ভারতের যুবক-যুবতীদের বিস্তর সাংস্কৃতিক এবং সামাজিক ফারাক রয়েছে। এ দেশে সচেনতার অভাবের কথাও বলা হয়েছে রিপোর্টে।
বলা হয়েছে, কন্ডোম কখন ব্যবহার করা উচিত, কী ভাবে ব্যবহার করা উচিত এবং সঙ্কোচমুক্ত হয়ে কেনার বিষয়ে এখনও স্পষ্ট ধারণা নেই এ দেশে।