Nita Ambani

চায়ের কাপ থেকে হাতব্যাগ, নীতা অম্বানীর শখের সব জিনিসপত্রের দাম জানা আছে?

মুকেশ-ঘরনির দৈনন্দিন জীবনযাপন নিয়ে উৎসাহ রয়েছে অনেকেরই। দেশের ধনীতম ব্যক্তির অর্ধাঙ্গিনীর জীবন কতটা বিলাসিতায় মোড়া? রইল তাঁর কিছু ঝলক।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

মুম্বই শেষ আপডেট: ০৭ নভেম্বর ২০২২ ১৩:৫৬
Share:

নীতা অম্বানির ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে জানতে উৎসুক অনেকেই। ছবি: সংগৃহীত

দেশের অন্যতম ধনকুবেরের ঘরনি তিনি। সেই সঙ্গে মুম্বই ইন্ডিয়ানস ক্রিকেট টিমের মালকিন। তাই নীতা অম্বানির ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে জানতে উৎসুক অনেকেই। তাঁর সাজগোজও আলাদা করে নজর করে। শাড়ি কিংবা লেহঙ্গা— সবেতেই আকর্ষণীয় হয়ে ওঠেন মুকেশ-পত্নী। নীতার পরনের পোশাক, কুমিড়ের চামড়ার দিয়ে তৈরি ব্যবহৃত ব্যাগ নিয়ে কম চর্চা হয় না। দাবি করা হয়, নীতা নাকি বিশ্বের সবচেয়ে দামি জল খান। ৭৫০ মিলিলিটার জলের বোতলের দাম প্রায় ৬০ হাজার ডলার। যা ভারতীয় মুদ্রায় ৪৪ লক্ষ টাকারও বেশি। নীতার বোতলবন্দি ওই জল আসে ফ্রান্স এবং ফিজি থেকে। কানাঘুঁষো শোনা যায়, এই পানীয় জল স্বর্ণভস্ম মিশ্রিত। প্রায় ৫ গ্রাম মতো স্বর্ণভস্ম থাকে এতে। যা মানবদেহের পক্ষে নাকি খুবই স্বাস্থ্যকর। সেই জন্যেই এই জল বহুমূল্য।

Advertisement

তাঁর সাজগোজও আলাদা করে নজর কাড়ে। ছবি: সংগৃহীত

এখানেই শেষ নয়। চাকচিক্য এবং বিলাসিতার ছোঁয়া লেগে রয়েছে তাঁর জীবনের প্রতিটি পরতে পরতে। সকালে ঘুম ভেঙে যে চায়ের কাপে তিনি চুমুক দেন, তার দাম নাকি তিন লক্ষ টাকা। তাঁর বিভিন্ন শখের মধ্যে এটাই একটা। জাপানের প্রাচীনতম বাসনপত্র তৈরির সংস্থা থেকে ২২ ক্যারাট সোনা ও প্ল্যাটিনাম খচিত একটি ক্রকারি সেট কেনেন নিজের জন্য। পুরো সেটটির দাম দেড় কোটি টাকা।

ঘড়ি নিয়েও যথেষ্ট খুঁতখুঁতে তিনি। তাঁর সংগ্রহে বুলগারি, র‌্যাডো, গুচ্চি, কেলভিন ক্লেন, ফসিলের মতো বিশ্বের সেরা ঘড়ি প্রস্তুতকারক সংস্থার ঘড়ি। হাতব্যাগের প্রতিও যেন নীতা অম্বানির আলাদা ভালবাসা। কুমীরের চামড়া দিয়ে তৈরি ২ কোটি ৬ লক্ষ টাকা দামের ব্যাগ নিয়ে বেশ হইচই পড়ে গিয়েছিল। ২০১৭ সালে ওই ব্যাগটি ব্রিটেনে ‘ক্রিস্টিজ’-এ নিলামে উঠেছিল। এই তালিকায় রয়েছে আরও অনেক। যার বেশির ভাগের দামই প্রায় ৩০ লক্ষ টাকা। জুতোর ব্যাপারেও তাঁর পছন্দ একেবারে আলাদা। নীতা অম্বানির জুতোর ব্যাগ তাক জুড়ে আলো করে থাকে ‘পাদ্রো’, ‘গ্রাসিয়া’-র মতো নামী-দামি বিদেশি সংস্থার জুতো। সূত্রের খবর, নীতা নাকি এক জুতো কখনও দু’বার পরেন না।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement