প্রতীকী ছবি।
পর্ন নিয়ে দেশজুড়ে চলছে হইচই। শিল্পা শেট্টির স্বামী রাজ কুন্দ্রার পর্ন ব্যবসার কথা ফাঁস হতেই নতুন ভাবে নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। কেন পর্ন ছবি দেখা নিয়ে এত বিধি-নিষেধ, জানতে চান অনেকে। যাঁরা বিধি বানান, তাঁরা কি পর্ন দেখে আনন্দ পান না? এ প্রশ্নও ঘুরছে নেটমাধ্যমের পাতায়। ঘরে ঘরে ইন্টারনেট পৌঁছনোর সঙ্গে পর্ন দেখার অভ্যাসে বদল এসেছে। এখন নিজের ফোন কিংবা কম্পিউটারেই দিব্যি একা বসে দেখা যায় এমন ভিডিয়ো। কিন্তু পর্ন দেখলে শরীর ও মনের উপরে কেমন প্রভাব পড়ে? সে কথা জানতে ইচ্ছা করেছে কি কখনও?
অতিরিক্ত পর্ন দেখলে কল্পনা ও বাস্তবের মাঝে ফারাক করার ক্ষমতা কমে যেতে থাকে বলে বারবার বলছেন মনোবিদেরা। অতিমারির এই সময়ে ঘরে বসে পর্ন দেখার প্রবণতা যত বেড়েছে, ততই এই আলোচনা প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে। এর জেরে মানসিক চাপ বাড়তে পারে। শরীর খারাপ হতে পারে। যৌন জীবনেও তার প্রভাব পড়ে।
প্রতীকী ছবি।
নিয়মিত পর্ন দেখার অভ্যাস থাকলে আরও কয়েকটি কথা জেনে রাখা জরুরি—
১) এর জেরে পুরুষদের ক্ষেত্রে দেখা দিতে পারে শিথিল যৌনাঙ্গের সমস্যা। পর্ন দেখার অভ্যাস হয়ে গেলে সঙ্গমকালে বিশেষ সুখ হয় না অনেকের। কারণ বাস্তবের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয়ে যায়। তার ফলে এমন অসুবিধা দেখা দিতে পারে
২) অতিরিক্ত পর্ন দেখলে নেশা হয়ে যেতে পারে। সেই আসক্তি ছাড়াতে সমস্যা হয়
৩) সমাজের বাকি সব কিছুর সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করতে পারে পর্নের আসক্তি। এর প্রভাব পড়ে কাজ থেকে শুরু করে সংসারেও
৪) মানসিক স্বাস্থ্যের উপরে এই আসক্তির প্রভাব অনেকটা মদের নেশার মতো। অতিরিক্ত পর্ন দেখলে অন্যের ক্ষতি করার প্রবণতা দেখা দেয় বহু মানুষের মধ্যে
৫) অতিরিক্ত পর্ন দেখলে যৌনসঙ্গমের জন্য একাধিক সঙ্গীর খোঁজ করার প্রবণতা দেখা দেয়। তার ফলে যৌনবাহিত রোগ হতে পারে
ফলে পর্ন দেখার অভ্যাস থাকলে তা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। অতিরিক্ত পর্ন দেখার কারণে আত্মবিশ্বাস কমে যাওয়ার মতো সমস্যায়ও যে দেখা দেয়। তার প্রভাব গিয়ে পড়ে রোজের জীবনে।