ভিটামিন ডি, ই, ক্যালশিয়ামের গুণে সমৃদ্ধ কাঠবাদাম। ছবি: সংগৃহীত।
চিনেবাদামের চেয়ে দাম একটু বেশি। তাই চট করে কাঠবাদাম খাওয়ার কথা অনেকেরই মাথায় আসে না। এক-আধটা দিন শখ করে ড্রাই ফ্রুট্স মুখে দিলেও নানা কাজের চাপে নিয়মিত খাওয়ার কথা ভুলেই যান অনেকে। তবে যাঁরা স্বাস্থ্য সচেতন, ওজন কমানোর হুজুগে গা ভাসান, তাঁদের মধ্যে এই কাঠবাদাম খাওয়ার প্রবণতা বেশি। শীতে ভাইরাসজনিত রোগ, শুষ্ক ত্বকের সমস্যা থেকে রেহাই পেতে অনেকেই কাঠবাদাম খেয়ে থাকেন। ভিটামিন ডি, ই, ক্যালশিয়ামের গুণে সমৃদ্ধ কাঠবাদাম খেলে ঠিক কী কী উপকারে লাগে?
১) হৃদ্যন্ত্র ভাল রাখে
হৃদ্যন্ত্র ভাল রাখতে যে ধরনের ফ্যাট প্রয়োজন, তা রয়েছে কাঠবাদামে। মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট ছাড়াও এই বাদামে রয়েছে পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম এবং অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট। এই সবক’টি উপাদানই উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। কার্ডিয়োভাসকুলার রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে।
২) ওজন নিয়ন্ত্রণ করে
ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করছেন যাঁরা, তাঁদের নিয়মিত কাঠবাদাম খাওয়ার পরামর্শ দেন পুষ্টিবিদেরা। কাঠবাদামের মধ্যে থাকা স্বাস্থ্যকর ফ্যাট, প্রোটিন এবং ফাইবার শরীরের বিভিন্ন খনিজের ঘাটতি পূরণ করে। খিদে পেলেই উল্টোপাল্টা খেয়ে ফেলার প্রবণতা রুখে দিতে পারে।
৩) রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে
কাঠাবাদামের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স অনেক কম। তাই ডায়াবিটিস রোগীদের ক্ষেত্রে এই বাদাম খাওয়া নিরাপদ। এ ছাড়াও কাঠবাদামের মধ্যে থাকা ম্যাগনেশিয়াম, রক্তে গ্লুকোজ়ের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সাহায্য করে।
৪) হাড় মজবুত করে
কাঠবাদামে রয়েছে ফসফরাস, ক্যালশিয়াম এবং ম্যাগনেশিয়ামের মতো অত্যন্ত প্রয়োজনীয় বেশ কিছু উপাদান। হাড়ের ঘনত্ব ভাল রাখতে ক্যালশিয়ামের পাশাপাশি এই সমস্ত উপাদান প্রয়োজনীয়। অস্টিয়োপোরোসিসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রুখে দিতে পারে, কাঠবাদাম খাওয়ার অভ্যাস।
৫) মস্তিষ্ক সতেজ রাখে
সারা দেহের কাজকর্ম পরিচালনা করে মস্তিষ্ক। তাই মস্তিষ্কের সমস্ত রাসায়নিক উপাদানের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখা বিশেষ ভাবে প্রয়োজন। কাঠবাদামের মধ্যে থাকা ভিটামিন ই এবং ম্যাগনেশিয়াম, মস্তিষ্কের স্নায়ুর বয়সজনিত সমস্যাগুলিতে আত্রান্ত হওয়ার গতি শ্লথ করে দিতে পারে।