মুলো খেলে পেটে বায়ুর সমস্যা হয় অনেকেরই। ছবি: সংগৃহীত।
বিট, গাজর, কড়াইশুঁটি, ফুলকপির সঙ্গে শীতের বাজারে আসতে শুরু করেছে মুলো। শীতকাল এক দিকে যেমন ভাল, অন্য দিকে সমস্যারও। কারণ, এই সময়ে নানা রকম রোগজীবাণুর প্রকোপ বাড়ে। ফোলেট, ফাইবার, রাইবোফ্ল্যাবেন, পটাশিয়াম, ভিটামিন বি৬, ম্যাগনেশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ এবং ক্যালশিয়াম-সমৃদ্ধ মুলো স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী তো বটেই। এ ছাড়াও মুলোতে আছে ‘অ্যান্থোসায়ানিন’ নামক একটি যৌগ, যা হার্টের স্বাস্থ্য ভাল রাখে। তবে, অনেকেই অস্বস্তিকর গন্ধের জন্য মুলো খেতে চান না। অনেকেরই মুলো খেলে পেটে বায়ুর সমস্যা হয়। কিন্তু রোগ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে মরসুমি সব্জির জুড়ি মেলা ভার। তাই অন্যান্য সব্জির সঙ্গে খাবারের পাতে থাকুক মুলোও।
মুলো খেলে শরীরের কী কী উপকার হয়?
১) শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে
মুলোতে গ্লুকোসিনোলেট এবং আইসোথিয়োসায়ানেট নামক দু’টি উপাদান রয়েছে। এই দু’টি উপাদানই রক্তে শর্করার ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।
২) ক্যানসার প্রতিরোধক
মুলোর মধ্যে যে পরিমাণ ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, তা ক্যানসার প্রতিরোধক। বিশেষ করে লিভার, স্তন, প্রস্টেট, মলাশয় এবং ফুসফুসের ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমাতে পারে বলেই জানাচ্ছে গবেষণা।
৩) লিভারের জন্য ভাল
মুলোতে রয়েছে ইন্ডোল-৩-কার্বিনল এবং ৪-মিথাইলথিয়ো-৩-বুটেনাইল-আইসোথিয়োসায়ানেট। এই সমস্ত উপাদান উৎসেচক ক্ষরণে উদ্দীপকের কাজ করে। লিভারে জমা টক্সিন সহজেই দূর করতে সাহায্য করে এই উৎসেচকগুলি।
৪) হার্ট ভাল রাখে
মুলোর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে। সঙ্গে ক্যালশিয়াম এবং পটাশিয়ামের মতো খনিজ উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। গবেষণায় দেখা গেছে, ট্রিগোনেলিনের মতো বিশেষ একটি উপাদান রয়েছে মুলোতে। যা রক্তবাহিকার কার্যকারিতা সহজ করে।
৫) অ্যান্টিফাঙ্গাল উপাদানে ভরপুর
মুলো খেলে ছত্রাকঘটিত সংক্রমণের সমস্যা কমে। কারণ এই সব্জির মধ্যে রয়েছে আরএসএএফপি ২ নামক একটি অ্যান্টিফাঙ্গাল প্রোটিন। শরীরে ফাঙ্গির আক্রমণে বাধা দেয় এই বিশেষ উপাদানটি।