প্রতীকী ছবি।
গাছ দিয়ে ঘর সাজাতে কে না চান? কম খরচে আপনার অন্দরসজ্জার ভোল পাল্টে দিতে পারে সবুজের ছোঁয়া। কিন্তু যাঁদের বাগান করার তেমন অভ্যাস নেই, তাঁরা হয়তো অজান্তে গাছের কিছু ক্ষতি করে ফেলছেন। পরিচর্যায় কিছু নিয়ম মেনে চললেই গাছ দিব্যি বেড়ে উঠবে। সেগুলি কী, জেনে নিন।
জল
অনেকে গাছের যত্ন নিতে গিয়ে বেশি জল দিয়ে ফেলেন প্রত্যেক দিন। ফুলের গাছ না হলে বেশির ভাগ গাছের ক্ষেত্রেই রোজ জল দেওয়ার প্রয়োজন পড়ে না। এক দিন অন্তর জল দিন। কিছু ক্ষেত্রে সপ্তাহে দু’দিন জল দিলেও চলে। কোনও গাছ কেনার সময়ে ভাল করে জেনে নিন, কত ঘন ঘন জল দেওয়া প্রয়োজন। বেশি জল দিলে খুব তাড়াতা়ড়ি গাছ মরে যাবে।
আলো
গাছের খাদ্যের জন্য সূর্যের আলোর প্রয়োজন, এটা আমরা সকলেই স্কুলের পাঠ্য বইয়ে পড়ে এসেছি। কিন্তু সরাসরি সূর্যের আলোয় রাখলে অনেক গাছই শুকিয়ে গিয়ে মরে যায়। তাই এমন জায়গায় গাছ রাখতে হবে, যেখানে পর্যাপ্ত পরিমাণে আলো রয়েছে, কিন্তু সূর্যের আলো সরাসরি দু’-তিন ঘণ্টার বেশি থাকে না।
প্রতীকী ছবি।
বদল নয়
কোনও গাছকে শুরু থেকেই যদি কম আলোয় রাখেন, হঠাৎ প্রচণ্ড আলোয় নিয়ে গেলেও তাঁরা মানিয়ে নিতে পারে না। নেতিয়ে পড়ে মরেও যায় অনেক সময়। যদি জায়গা বদল করতেই হয়, একটু একটু করে আলোর দিকে এগিয়ে নিয়ে যান। গাছকে সময় দিন ধীরে ধীরে মানিয়ে নিতে।
গাছ বাছাই
কোন গাছ কিনছেন, তার উপরও নির্ভর করবে আপনার নতুন বাগান কতটা ভাল থাকবে। যদি গাছের পরিচর্যা করা নিয়ে তেমন অভিজ্ঞতা না থাকে, তা হলে শুরুতে সাক্যুলেন্ট বা মানি প্ল্যান্টের মতো গাছ বেছে নিন। যাতে খুব বেশি যত্ন ছাড়াই তাঁরা বেড়ে ওঠে। একটু অভ্যস্ত হয়ে গেলে আপনি অন্য গাছ রাখুন।
ঝাড়াই-বাছাই
কোনও গাছের পাতা শুকিয়ে গেলে, ডগা বাদামি হয়ে গেলে নিয়মিত সেগুলি একটি কাঁচি দিয়ে কেটে ফেলুন। না হলে সমস্ত পুষ্টি সেই আধ মরা অঙ্গটি বাঁচাতে ব্যবহার করবে গাছ। বাকি গাছের পর্যাপ্ত পুষ্টি হবে না।