প্রতীকী ছবি।
খুব চুল পড়ছে? মাথার উপর টাক পড়ে যাচ্ছে? খুশকির সমস্যা বাড়ছে বা চুলের ডগা ফেটে যাচ্ছে? সব রকম সমস্যার সমাধান রয়েছে নানা ধরনের ঘরোয়া টোটকায়। অন্তত ইন্টার্নেট তেমনই বলছে। আপনিও তাতে ভরসা রেখে নিয়ম করে প্রত্যেক দিন নানা রকম তেল বা নানা রকম উপকরণ ফুটিয়ে রস করে মাথায় লাগাচ্ছেন। কিন্তু তাতে লাভ হচ্ছে কি? মাথায় কি আদৌ নতুন চুল গজাচ্ছে?
স্বাভাবিক নিয়মে আমাদের মাথা থেকে প্রত্যেক দিন ১০০টি চুল পড়ে। নতুন চুলও গজায়। কিন্তু এই ভারসাম্য নষ্ট হয়ে গেলেই চুল পাতলা হয়ে আসে। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে কিছুটা হলেও নতুন চুল গজানোর ক্ষমতা কমে আসে। তবে চুলের স্বাস্থ্যের দিকে নজর রাখলে এবং ভাল করে যত্ন নিলে নতুন চুল গজানো সম্ভব। আপনি কী করে বুঝবেন, জেনে নিন।
প্রতীকী ছবি।
১। কালো ছোপ
চুলের সিঁথির মাঝে কি কোনও কালচে ছোপ দেখতে পাচ্ছেন? তার মানে নতুন চুল গজাচ্ছে। একদম ছোট্ট শিশুদের মাথায় যেমন তুলোর মতো চুল হয়, আপনার হেয়ারলাইনের কাছেও তেমন দেখা যাবে।
২। ছোট চুল
চুল বাঁধলে কিছু চুল কি উকটো ভাবে সিঁথির কাছে দাঁড়িয়ে থাকে? তার মানে আপনার নতুন চুল হয়েছে। তাই অন্য চুলের তুলনায় এগুলি ছোট।
৩। চুল পড়া বন্ধ
অত্যধিক চুল পড়া যখন ধীরে ধীরে কমে যাবে এবং চুলের স্বাস্থ্য আগের তুলনায় ভাল মনে হবে, তখন বুঝবেন যে আপনার চুলের ফলিক্লগুলি ফের সুস্থ ভাবে কাজ করছে। এবং অল্প সময়ের মধ্যেই চুল ফের ঘন হয়ে যাবে।
৪। লম্বা চুল
মাথার বাকি চুল যখন লম্বা হচ্ছে, তখন বুঝবেন নতুন চুলও গজাচ্ছে। মাথার তালুর স্বাস্থ্য ভাল থাকলে তবেই চুল লম্বা হবে। এবং সেই সঙ্গে নতুন সরু সরু চুলও গজাবে।
৫। ডগা ফাটা কমছে
চুল যত পুষ্টি পাবে, তত তার স্বাস্থ্য ভাল হবে। চুলের ডগা ফেটে যাওয়ার সমস্যাও কমবে। যখন দেখবেন ডগা ফাটার সমস্যা একদম কমে গিয়েছে, তখন বুঝবেন আপনার নতুন চুলও গজাচ্ছে। কারণ চুল পর্যাপ্ত পরিমাণে পুষ্টি পাচ্ছে।