প্রতীকী ছবি।
পছন্দের লিপস্টিক-লাইনার ফেলতে মন চায় না। মেকআপ ব্রাশ এক বার পছন্দ হয়ে গেলে আর বদলাতেই ইচ্ছা করে না। কিন্তু কিছু সম্পর্কের শেষ টানা জরুরি। না হলে বিপদ আছে!
লালা-গোলাপি মেকআপের সামগ্রীতেও বাসা বাঁধে নানা জীবাণু। ফলে একটি নির্দিষ্ট সময়ের পর তা ব্যবহার করলে জীবাণু ছড়িয়ে পড়তে পারে শরীরে। তার থেকে নানা অসুখের সূত্রপাত ঘটে। ত্বক কিংবা চোখে সংক্রমণ থেকে শুরু করে মুখের ভিতরে ব্যাক্টিরিয়া ছড়িয়ে পড়া— কত কী যে হতে পারে এর থেকে।
কিন্তু কবে বাতিল করতে হবে মেকআপের পুরনো সরঞ্জাম, তা বুঝবেন কী ভাবে? এক কথায় বলতে গেলে দেখে নেওয়া দরকার এক্সপায়ারি ডেট। অনেকেই ভেবে থাকেন, মেকআপে তো আর সহজে ছাতা পড়ে না। আগের মতোই দেখতে লাগে। তবে তা ফেলবেন কেন? কিন্তু পরিস্থিতি ততটাও সহজ নয়।
কত দিন অন্তর মেকআপের কোন সামগ্রী বদলাবেন?
১) লিপস্টিক: বছর খানেক নিশ্চিন্তে ব্যবহার করা যায় লিপস্টিক। তার বেশি নয়। ঠোঁটের যে কোনও জিনিসই ভাল ভাবে রাখলে এক বছরের আগে বদলানোর প্রয়োজন পড়ে না। লিপ লাইনার, লিপ গ্লস, লিপ বামও আছে সেই তালিকায়। তবে কোনও ঠান্ডা জায়গায় রাখতে হবে এই সব জিনিস।
২) আই লাইনার: এর আয়ু থাকে তিন মাস থেকে তিন বছরের মধ্যে। কোন ধরনের আই লাইনার ব্যবহার করছেন, তার উপর নির্ভর করে কত দিন তা রাখা সম্ভব। চোখের পেন্সিল হলে তা বেশি দিন রাখা যায়। কারণ তা কেটে নিলেই ব্যাক্টিরিয়া বেরিয়ে যায়। আবার জেল কিংবা তরল হলে সেই সব আই লাইনারের আয়ু কম থাকে। কয়েক মাসই ব্যবহার করা যেতে পারে।
৩) পাউডার: অনেকে ভুলেই যান যে ফেস পাউডারেরও এক্সপায়ারি ডেট থাকে। সাধারণত ১৮-২৪ মাস পর্যন্ত রাখা যায় পাউডার। তবে নিয়মিত ব্যবহার না হলে সে সময়ের আগেই পাউডারে ব্যাক্টিরিয়া জমতে পারে।
মেকআপের বাক্সের কোনও সামগ্রীরই আয়ু অনন্ত নয়। ফলে এক্সপায়ারি ডেট দেখে সে সব ব্যবহার করা অভ্যাস করুন। তাতে ত্বক ও চোখ সুরক্ষিত থাকবে।