প্রতীকী ছবি। ছবি: সংগৃহীত
বেশির ভাগ রান্নাতেই পেঁয়াজ পড়ে। তাই রান্নাঘরে গিয়ে পেঁয়াজ কাটা দিয়েই শুরু হয় সে দিনের যাবতীয় রান্না। অথচ পেঁয়াজ কাটতে গেলেই চোখ জ্বালা। এবং সঙ্গে সঙ্গে চোখ দিয়ে জল পড়ে। চোখ ঝাপসা হয়ে গিয়ে কাটাকুটি করতেই অসুবিধা হয়। এই ঝামেলার হাত থেকে মুক্তি পাওয়ার কি কোনও উপায় নেই? অবশ্যই রয়েছে। তবে তার আগে বুঝে নিন, কেন পেঁয়াজ কাটলে আমাদের চোখ জ্বালা করে।
পেঁয়াজে রয়েছে সালফেনিক অ্যাসিড। কাটার পর সেগুলি বেরিয়ে অন্য এনজাইমের সঙ্গে মিশে যায়। তাতেই তৈরি হয় সারফার গ্যাস। সেটাই চোখে গিয়ে চোখ জ্বালা করে জল বেরিয়ে যায়। এই একই কারণে পেঁয়াজ কাটার পরও হাতে পেঁয়াজের গন্ধ লেগে থাকে। তবে রান্না করার সময় এই এনজাইমগুলি আর কাজ করে না। তাই চোখও জ্বালা করে না।
এ বার জানা যাক, কী করলে পেঁয়াজ কাটার সময় এই যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে। রয়েছে বেশ কয়েকটি উপায়।
প্রতীকী ছবি।
১। রান্নাঘরে কোনও ভেন্ট বা চিমনি থাকলে তার নীচে দাঁড়িয়ে পেঁয়াজ কাটতে পারেন। তা হলে সব গ্যাস টেনে নেবে, আপনার চোখে যাবে না। তবে চিমনি ঠিক কোন জায়গায় বসানো রয়েছে, তার উপর নির্ভর করবে এই পদ্ধতি কতটা কার্যকর হবে।
২। পেঁয়াজ কাটার ১৫ মিনিট আগে ফ্রিজে ঢুকিয়ে রাখুন। ঠান্ডা অবস্থায় এনজাইমগুলি অত কাজ করে না। তাই চোখ জ্বালা করবে না।
৩। খুব ধারাল ছুড়ি দিয়ে পেঁয়াজ কাটতে পারেন। অবাক লাগলেও এই পদ্ধতি কাজ করে। পেঁয়াজের কোষে কম ক্ষতি করে ধারাল ছুড়ি। তাই খুব বেশি এনজাইম বার হয় না।
৪। পেঁয়াজের মুখে নাকি সবচেয়ে বেশি এনজাইম থাকে। তাই প্রথমেই সেগুলি কেটে বাদ দিয়ে দিন।
৫। জনপ্রিয় শেফ মার্থা স্টুয়ার্ট বলেন, আগুনের সামনে পেঁয়াজ কাটতে। কারণ আগুনের সালফার পেঁয়াজের এনজাইমগুলি অকেজো করে দেয়। তাই একটি মোমবাতি জ্বালিয়ে চেষ্টা করে দেখতে পারেন।
৬। পেঁয়াজে মুখ কেটে ১৫ থেকে ২০ মিনিট জলে ভিজিয়ে রাখতে পারেন। তাহলে সালফেনিক অ্যাসিড ধুয়ে যাবে। কিন্তু এতে পেঁয়াজের ঝাঁঝ কমে যেতে পারে। ভিজে পেঁয়াজ কাটাও একটু মুশকিল হয়ে যেতে পারে।