২০২০ সালে, আইভি লিগের অন্তর্ভুক্ত ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক হন ভাটসাল। ছবি: সংগৃহীত
স্বপ্ন দেখতেন ‘ওয়ার্ল্ড ব্যাংক’-এ চাকরি করবেন। পূরণ হয়েছে সে স্বপ্নও। কিন্তু ইচ্ছাপূরণের রাস্তা সহজ ছিল না। অক্লান্ত পরিশ্রম, অধ্যাবসায়, নিজের স্বপ্নকে ছুঁয়ে দেখার অদম্য ইচ্ছা— এনে দিয়েছে সাফল্য। ভাটসাল নাহাটা। ২৩ বছরের এই যুবকের স্বপ্নপূরণের লড়াই অনুপ্রেরণা জোগাচ্ছে অনেককে।
২০২০ সালে, আইভি লিগের অন্তর্ভুক্ত ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক হন ভাটসাল। স্নাতকের চূড়ান্ত পরীক্ষার দু’মাস আগে থেকেই নিজের লক্ষ্যে পৌঁছনোর প্রস্তুতি শুরু করেছিলেন ওই যুবক। পড়াশোনা শেষ মানেই বেকারত্বের শুরু। নিজেকে এই পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে নিয়ে যেতে চাননি তিনি। একটু একটু করে নিজেকে তৈরি করছিলেন। কিন্তু তখন করোনা পরিস্থিতি চরমে। একে একে সব কিছু বন্ধ হয়ে যাচ্ছিল। নতুন নিয়োগ তো দূরের কথা, প্রচুর সংস্থা তখন কর্মী ছাঁটাইয়ের পথে হাঁটছিল। শুরুতেই এমন বাধা পেয়ে মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছিলেন তিনি। কিন্তু হাল ছাড়েননি। বাড়ি থেকে দূরে থাকতেন। ফোনে বাবা-মাকে চিন্তার কথা বুঝতে দিতেন না। সব ঠিক আছে কি না বাবা-মা জানতে চাইলে মন থেকে যেন আরও দুর্বল হয়ে পড়তেন তিনি। কিন্তু কোনও দিন নিজের মনের আঁচ বাবা-মাকে পেতে দেননি। লড়াই চালিয়ে গিয়েছেন একাই।
প্রতি দিন খোঁজ রাখতেন নিয়োগের কোনও বিজ্ঞাপন বেরিয়েছে কি না। প্রায় ১৫০০টি জায়গায় চাকরির আবেদন করেছেন। মেল করেছেন ৮০টিরও বেশি। ফোন করেও খোঁজ নিয়েছেন কোথাও কাজের খবর আছে কি না। তেমন ফোনের সংখ্যাও নেহাত কম নয়। প্রতি বারই ব্যর্থতা নেমে এসেছে জীবনে। ধীরে ধীরে মানসিক অবসাদে ডুবে যাচ্ছিলেন। কিন্তু কথায় আছে, সৎ চেষ্টার কোনও বিকল্প নেই। এক সময়ের পর পরিশ্রমের ফল পেলেন ভাটসালও। চলতি বছর একসঙ্গে চারটি সংস্থায় চাকরির সুযোগ পান তিনি। চারটি সংস্থার মধ্যে একটি হল ‘ওয়ার্ল্ড ব্যাঙ্ক’। সেটাই বেছে নেন। ২৩ বছর বয়সে ‘ওয়ার্ল্ড ব্যাঙ্ক’-এর মতো একটি আন্তর্জাতিক সংস্থার গুরুত্বপূর্ণ পদের দায়িত্ব সামলানোর সুযোগ পেয়ে অভিভূত যুবক। ভাটসাল জানিয়েছেন, পরিশ্রমের সত্যিই কোনও বিকল্প নেই। তবে তা সঠিক পথে হতে হবে। ইচ্ছেটাই আসল। সেটা থাকলে লক্ষ্যপূরণের পথ যতই কঠিন হোক, সফল হতে বাধ্য।