ওয়াশিং মেশিনের আয়ু বাড়াবেন কী করে? ছবি: সংগৃহীত
সপ্তাহশেষে ময়লা জামাকাপড় যতই জমুক না কেন, মুশকিল আসান ওয়াশিং মেশিন তো রয়েছেই! এ ছাড়া এখন আবার অতিমারির সময়, রাস্তায় কোনও জামা পরে বেরলে বাড়িতে ফিরে সেটা না কেচে আলমারিতে তোলা যাবে না। তাই কাচাকুচির পরিমাণ আগের চেয়ে একটু বেশিই বেড়ে গিয়েছে। এই অতিরিক্ত ব্যবহারেও যাতে ওয়াশিং মেশিন ভাল থাকে, তাই ঠিক মতো যত্ন নেওয়া দরকার।
বাথরুমে ওয়াশিং মেশিন রাখবেন না
ওয়াশিং মেশিনের দীর্ঘায়ু কামনা করলে বাথরুমে ওয়াশিং মেশিন একেবারেই রাখবেন না। জলের ছিটে কিংবা বাষ্প ওয়াশিং মেশিনের স্থায়িত্ব কমায়।
খর জল ব্যবহার করবেন না
প্রচুর পরিমাণে খনিজ লবণ ও মিনারেল থাকে মাটির অনেক ভিতর থেকে আসা এই জলে, এই খর জল ব্যবহার করবেন না। এতে সাবানের ফেনা ঠিক মতো হয় না, কাপড় পরিষ্কারও হয় না। এটি ওয়াশিং মেশিনের ক্ষতি করে। প্রয়োজনে খরজলের ছাঁকনি লাগাতে পারেন।
কাপড়ের ভিতরকার জিনিস বার করে নিন
কাপড়ের ভিতরে অনেক সময় পয়সা, চাবি এমনকি ফোনও থেকে যায়। এই সব জিনিস সমেত প্যান্ট বা ব্যাগ আমরা না খেয়াল করেই কাচতে দিয়ে দিই, এতে ওয়াশিং মেশিনের ক্ষতি হয়।
কাপড়ের ভিতরে কিছু রয়ে যায়নি তো?
ভিজে কাপড় ওয়াশিং মেশিনে রাখবেন না
কোনও কাপড়ে দাগ লাগা থাকলে তা ওঠানোর জন্য সারা রাত বালতিতে ভিজিয়ে ওয়াশিং মেশিনে কাচুন। কিন্তু ওয়াশিং মেশিনের মধ্যে ভিজিয়ে রাখবেন না। কিংবা ভিজে কাপড় পরে শুকোতে দেবেন বলে ওয়াশিং মেশিনে রেখে দেবেন না।
প্রচুর সাবান দেবেন না
অতিরিক্ত কাপড় কাচার সাবান দিলেই মেশিন তাড়াতাড়ি পরিষ্কার হবে এই ভাবনা ভুল। বরং বেশি সাবান দিলে অনর্থক ফেনা তৈরি হবে, যার ফলে ওয়াশিং মেশিনের নিকাশি ব্যবস্থাটাকে জমিয়ে দেবে এমনকি সেটা খারাপ করেও দিতে পারে।