Home Decor Ideas

শোয়ার ঘর ছোট? জায়গা নষ্ট না করে দেওয়াল কাজে লাগিয়ে তৈরি করতে পারেন আলমারি

ছোট্ট শোয়ার ঘরেও দেওয়াল ব্যবহার করে বড় বড় আলমারি করে নেওয়া যায়। কী ভাবে কাজে লাগাবেন দেওয়াল?

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৯ অগস্ট ২০২৪ ১৭:১২
Share:

শোয়ার ঘরে কী ভাবে আলমারি তৈরি করলে সুবিধা হতে পারে? ছবি: ফ্রি পিক।

সারা দিনের কাজের পর ফিরে শোয়ার ঘরের বিছানায় শরীর এলিয়ে দেওয়ার মতো প্রশান্তি যেন কিছুতেই নেই। সেই ঘরে যদি আসবাবের আধিক্যে পা ফেলাই দায় হয়, তখন শান্তি নষ্ট হতে বেশি সময় লাগবে না। তবে ২-৩ কামরার ফ্ল্যাটে সবসময় বেশ বড়সড় শয়নকক্ষ থাকবে, তাতে প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র সাজিয়ে রাখা যাবে, এমনটা আশা করা বৃথা। আবার শোয়ার ঘর সাজাতে গিয়ে যদি জামাকাপড় ও অন্যান্য জিনিস গুছিয়ে রাখার আলমারি সেখানে স্থান না পায়, তা হলে সমস্যার শেষ থাকবে না। তবে উপযুক্ত নকশা ও পরিকল্পনায় ছোট ঘরের দেওয়ালেও তৈরি করে নেওয়া যায় সুদৃশ্য আলমারি। কী ভাবে আলমারি বানালে, জায়গা বাঁচবে, আবার কাজও হবে?

Advertisement

১. শোয়ার ঘর ছোট হলে দেওয়ালের নীচ থেকে উপরের অংশ, পুরোটাই আলমারি তৈরির জন্য কাজে লাগানো ভাল। কেনা আলমারিও রাখা যেতে পারে। কিন্তু সে ক্ষেত্রে তার নিজস্ব উচ্চতা থাকে। আলমারির মাথায় কোনও জিনিস রাখলে, তাতে শোয়ার ঘরের শোভা বর্ধন করবে না। বরং সেই অংশ যদি আলমারির মতোই পাল্লা দিয়ে ঢেকে দেওয়া যায় তাতে বাড়তি জিনিস রাখা যাবে। সে ক্ষেত্রে ঘরের মাপ অনুযায়ী আলমারি তৈরি করালে, দেওয়ালটি ভাল ভাবে ব্যবহার করা সম্ভব।

২. আলাদা করে ড্রেসিং টেবিল না রেখে, শোয়ার ঘরের একটি দেওয়াল জুড়ে কাঠের বা প্লাইউডের আলমারি বানিয়ে নিতে পারেন। সেই আলমারির একটি অংশে লম্বা কাচ লাগিয়ে ড্রেসিং টেবিল করানো যেতে পারে। সাজগোজের জিনিস রাখার জন্য ড্রেসিং টেবিলের কাচটি পাল্লা হিসাবে ব্যবহার করতে পারেন। কাচের পিছনে প্রসাধনী রাখার জায়গা করে নেওয়া যায়। ড্রেসিং টেবিলের জন্য আলাদা টুল না রেখে এমন ভাবে ব্যবস্থা করা যায়, যাতে কাজ হয়ে গেলে সেই টুলটি সঠিক খাঁজে ঢুকিয়ে দিলে আলমারির অংশ বলেই মনে হয়।

Advertisement

আলমারির সঙ্গে ড্রেসিং টেবিল। ছবি: সংগৃহীত।

৩. ঘরের দেওয়ালের মাঝের অংশে খাট রাখলে তার দুই পাশ, এমনকি মাথার অংশেও আলমারি করে নেওয়া যায়। এতে জিনিসপত্র গুছিয়ে রাখার অনেকটা জায়গা মেলে । খাটের ঠিক উপরের অংশটি বেশ কিছুটা ফাঁকা রাখুন। ওই জায়গায় কোনও ছবি, বা দেওয়াল সাজানো হস্তশিল্প, আয়না রাখতে পারেন। তবে সেই অংশটুকু ছাড়া বাকি দেওয়ালটাই আলমারি তৈরিতে কাজে লাগানো যায়।

৪. খাটের পাশের দেওয়ালেও আলমারি তৈরি করে নিতে পারেন। যদি আলমারির পাল্লা খোলার জায়গা না থাকে, তা হলে ‘স্লাইডিং দরজা’ রাখতে পারেন। এ ক্ষেত্রে আলমারির দরজা বাঁ দিকে ঠেলে বা ডান দিকে সরিয়ে খোলা যাবে।

৫. যে দেওয়ালে ঘরে ঢোকার দরজা রয়েছে, সেই দেওয়ালটিও সম্পূর্ণ ভাবে কাজে লাগানো যায়। দরজার অংশটুকু বাদ দিয়ে বাকি দেওয়ালে নীচ থেকে ঘরের ছাদ পর্যন্ত আলমারি তৈরি করাতে পারেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement