বালতি হোক ঝকঝকে। ছবি:সংগৃহীত।
ঘরবাড়ি সুন্দর করে সাজাতে গিয়ে অনেক সময়ে ছোটখাটো কিছু বিষয় নজর এড়িয়ে যায়। গুরুত্ব দেওয়ার মতো নয় বলে মনে হলেও সংসারে এমন অনেক জিনিস থাকে, যেগুলিরও যত্ন জরুরি। স্নানঘরের বালতি তেমনই একটি জিনিস। বালতি যদি পরিষ্কার না করেন, তা হলে অতিথির সামনে অস্বস্তিতে পড়তে হতে পারে। তা ছাড়া, একটা অপরিষ্কার বালতি পরিকল্পনা করা ঘর সাজানোর পরিশ্রম একেবারে পণ্ড করে দিতে পারে। তাই শুধু ঘরদোর নয়, বালতিও ঝকঝকে রাখতে হবে। তা সম্ভব ঘরোয়া কয়েকটি টোটকা ব্যবহার করেই।
বেকিং সোডা
হেঁশেলে বেকিং সোডা আছে? তা হলে বালতি পরিষ্কার করা নিয়ে চিন্তা করার দরকার নেই। বেকিং সোডার গুণেই ঝকঝকে হবে দাগছোপ ধরা বালতি। বেকিং সোডা, বাসন মাজার তরল সাবান এবং লেবুর রস একসঙ্গে মিশিয়ে বালতির ভিতরে মাখিয়ে রাখুন। তার পর ব্রাশ দিয়ে বালতির ভিতরটা ভাল করে ঘষে নিন। মিনিট দুয়েক ঘষার পর দেখবেন বালতির দাগ সব উঠে গিয়েছে।
মাজন
শুধু দাঁত নয়, বালতি পরিষ্কার করারও ক্ষমতা রয়েছে মাজনের। বালতির কালো হয়ে যাওয়া অংশে মাজন লাগিয়ে রাখুন। সারা রাত রাখলে ভাল। তার পর ব্রাশ দিয়ে ভাল করে জোরে জোরে ঘষতে থাকুন। দু’-এক বার ঘষার পর দেখবেন দাগ উঠে গিয়েছে।
ভিনিগার
পোশাক হোক কিংবা বালতি, যে কোনও দাগছোপ দূর করতে ভিনিগার দারুণ কার্যকর। ফলে বালতি ঝকঝকে করতে ভরসা রাখতে পারেন ভিনিগারের উপর। গরম জলের সঙ্গে ভিনিগার মেশান। একটি স্পঞ্জে করে মিশ্রণটি বালতির গায়ে মাখিয়ে রাখুন। তার পর ঘষে নিলেই ময়লা বালতি নিমেষেই চকচকে হয়ে উঠবে।
কফি
রূপচর্চায় তো বটেই, প্লাস্টিকের বালতি পরিষ্কার করতেও কফি অনবদ্য। হলুদ হয়ে যাওয়া বালতির গায়ে ভাল করে কফি মাখিয়ে রেখে দিন। ঘণ্টা তিনেক পরে ব্রাশ দিয়ে হালকা করে ঘষে নিন। দেখবেন বালতির গায়ের দাগছোপ নিমেষে উঠে গিয়েছে। কফি শুধু ত্বকের নয়, বালতিরও ভাল স্ক্রাবার।