ঘরে তৈরি সারেই ফুল-ফল ফোটান গাছে। ছবি: ফ্রিপিক।
বর্ষার সময়ে শুকনো সার দিতে সমস্যা হয়। যাঁরা বাগান করেন বা বাগান করার শখ আছে, তাঁরা জানেন, বৃষ্টির দিনে গাছের গোড়া এমনিতেই ভিজে-ভিজে থাকে। ভিজে মাটি শুকোতেও সময় নেয়। এই ভেজা মাটিতে শুকনো সার দেওয়া খুব সমস্যার। তাই এই সময়ে গাছে তরল সার দেওয়াই বেশি ভাল। এখন হয়তো ভাবছেন, তরল সার কোথা থেকে কিনবেন! তা হলে বলে রাখা ভাল, বাড়িতেই বানিয়ে নিন উৎকৃষ্ট মানের সার। ঘরে যদি এই দুই ফল থাকে, তাহলে আর চিন্তাই নেই।
কলা খেয়ে খোলা ফেলবেন না যেন
কলা খেয়ে কি খোসা ফেলে দেন? আজ থেকে আর ফেলবেন না। বরং একটি প্লাস্টিকের ব্যাগে খোসাগুলি ভরে ফ্রিজে রেখে দিন। ব্যাগের মুখটা ভাল করে আটকাবেন, না হলে আবার কলার খোসার গন্ধ ফ্রিজে ছড়িয়ে পড়বে।
এইভাবে কয়েকদিন কলার খোসা জমিয়ে নিন। তার পরে খোসাগুলি ছোট ছোট করে কেটে জলে ভিজিয়ে রাখুন। এক সপ্তাহ মতো কলার খোসা জলে ভিজিয়ে রাখবেন। তার পর সেই জল ছেঁকে নিন।
কলার খোসাতে পটাশিয়াম আছে যা গাছের জন্য খুবই ভাল। তবে মনে রাখবেন, খোসা ভেজানো জল সরাসরি গাছে দেওয়া যাবে না। বাজারে গাছ বিক্রেতারাই বলেন, কলার খোসা ভেজানো জল সবসময়ে পরিষ্কার জলের সঙ্গে মিশিয়েই গাছে দিতে হবে। এ ক্ষেত্রে ৪:১ অনুপাত মাথায় রাখতে হবে। যতি ১ কাপ খোসা ভেজানো জল হয়, তা হলে তার সঙ্গে চার কাপের মতো পরিষ্কার জল মেশাতে হবে। এই মিশ্রণই ভাল করে গাছে স্প্রে করুন। গাছের পাতাতেও কিন্তু স্প্রে করুন।
শসা আছে বাড়িতে?
শসার খোসা ছাড়িয়ে নিন। এ বার খোসাগুলি একটি কাচের জারে ভরে সাত দিনের মতো রেখে দিন। তার পর জলটা ছাঁকনি দিয়ে ভাল করে ছেঁকে নিন। এই জলটা সরাসরিই গাছে দেওয়া যাবে।
গাছ বিক্রেতারা জানাচ্ছেন, শসার খোসা ভেজানো জল দিলে গাছের সজীব থাকবে। চট করে গাছের পাতা হলুদ হবে না। বর্ষার সময়ে গাছে পোকা ধরবে না। আসলে শসার খোসাতে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম ও ফসফরাস থাকে। এই দুই উপাদান গাছের জন্য খুবই উপকারী।