বাড়ির দেওয়াল সজ্জার সঙ্গে এ বার সাজিয়ে ফেলুন ঘরের সিলিংও। প্রতীকী ছবি।
ছোট কিংবা বড়— নিজের বাড়ি সাজিয়ে-গুছিয়ে যত্নে রাখাই আসল। বাড়ির প্রতিটি কোণে আপনার রুচির বহিঃপ্রকাশ ঘটে। বুদ্ধি, কারসাজিতেই সুন্দর হয়ে উঠতে পারে আপনার বাড়ি। ঘর সাজানোর কথা উঠলেই অধিকাংশ মানুষ দেওয়ালের রং, আসবাব, অন্দরসজ্জার সামগ্রী নিয়ে ভাবেন। কোন আসবাব কোথায় রাখলে ঘরের শোভা বাড়বে, সেটাও নিয়েও চিন্তার শেষ থাকে না। সব দিকেই খেয়াল রাখেন, বাদ পড়ে যায় কেবল সিলিংটুকু। আপনার ঘরের ভোল বদলে যেতে পারে কেবল ফলস সিলিংয়ের কেরামতিতে। সিলিংয়ের সাজে বদল এনে ঘরর মধ্যেও তুলে আনতে পারেন এক টুকরো খোলা আকাশ। বাড়ির দেওয়াল সজ্জার সঙ্গে এ বার সাজিয়ে ফেলুন ঘরের সিলিংও।
১) সাদা প্লাইয়ের বেশ কিছু নকশা করা বাক্স ফ্যানের সঙ্গে বিভিন্ন ভাবে লাগিয়ে দিন। বাক্সগুলি যেন খুব বেশি বড় না হয়। বাক্সগুলি চৌকো বা গোল হলেও অসুবিধা নেই, বরং ভালই। এ বার নির্দিষ্ট দূরত্ব রেখে স্পট আলোগুলি লাগিয়ে নিন। ছোট এক ফুট, দু’ফুটের এলইডি টিউবলাইটও সিলিংসজ্জায় চমক আনতে পারে।
আপনার ঘরের ভোল বদলে যেতে পারে কেবল ফলস সিলিংয়ের কেরামতিতে। ছবি: সংগৃহীত
২)সবুজপ্রেমী হলে, প্লাস্টিকের টবে লতানো গাছ সিলিং থেকে ঝুলিয়ে দিতে পারেন। তার মধ্যেই একটু ফাঁকে ফাঁকে লাগিয়ে নিতে পারেন বিভিন্ন রকমের আলো। সুন্দর দেখাবে।
৩) সিলিংসজ্জায় ওয়ালপেপারও খুব ভাল লাগে। তবে তার প্রিন্ট বাছতে হবে ঘরের অন্য আসবাবের রং বা প্রিন্টের সঙ্গে মানানসই করে। নিজের পছন্দ মতো কোনও ছবিও আঁকিয়ে নিতে পারেন। অন্য রকম দেখাবে। ৪) ঘরের সিলিং-এ লাগানোর জন্য বাজারে রকমারি ‘টাইলস’ পাওয়া যায় এখন। সিলিংয়ে সে রকম কিছু টাইলসও লাগাতে পারেন। সাজসজ্জায় একটা বাড়তি চমক আসবে।
৫) আয়নার প্রতি দুর্বলতা থাকলে মাথার উপরে ছোট ছোট ভাগে আয়না লাগিয়ে নেওয়া যায়। এতে ঘরের আয়তনও বেশ খানিকটা বড় দেখাবে। আবার ব্যাপারটি বেশ রাজকীয় হবে।
৬) সুন্দর একটা ঝাড়বাতি ঝুলিয়ে দিলে ঘরের ভোলই বদলে যাবে। তবে সিলিংসজ্জা যেমনই হোক না কেন, তা যেন পুরো ঘরের সাজের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়, সে দিকে অবশ্যই খেয়াল রাখবেন।