খাবার টেবিলেও রাখতে পারেন রঙের ছোঁয়া। ছবি- সংগৃহীত
উৎসবের মরসুম জুড়ে কখনও বন্ধুর বাড়িতে খাওয়াদাওয়া। নয়তো বন্ধুদের বাড়িতে ডাকা। নিরন্তর এই চলেছে। কিন্তু যেই না ছুটির দিন শেষ হয়ে আসছে, অমনি মনখারাপ বাড়তে শুরু করেছে। কেমন যেন সব ফাঁকা ফাঁকা লাগছে। ইদানীং ঠান্ডাও পড়ছে বেশ। বাইরে তাপমাত্রার সঙ্গে সঙ্গে মনের পারদও পড়ছে যখন তখন। মনোবিদরা বলেন, বাইরের আবহাওয়ার সঙ্গে যেমন মন ভাল বা খারাপের যোগ আছে, তেমন ঘরের পরিবেশের সঙ্গেও আছে। তাই মন ভাল রাখতে ঘরের চেহারায় একটু বদল আনলে কিন্তু মন্দ হয় না।
মেঝের কার্পেটের সঙ্গে রাখুন মানানসই কুশন। ছবি- সংগৃহীত
শীতে ঘরের সাজসজ্জা পালটাতে কী কী করবেন?
১) কার্পেট এবং রাগস
শীতকালে বাড়িতে পার্টি চলতেই থাকে। তা সে বন্ধুরা আসুক বা না আসুক, সেই এক মার্বেল বা টাইলসের মেঝে দেখতে মোটেই ভাল লাগে না। আর শীতে মাটিতে পা রাখতেও ঠান্ডা লাগে। তাই বাড়ির মেঝে রাঙিয়ে তুলুন হাতে বোনা রকমারি কার্পেট এবং রাগস্ দিয়ে। দেওয়ালের রঙের সঙ্গে মানিয়ে মেঝেতে পেতে রাখুন কার্পেট।
ঘরের আশপাশে রাখতে পারেন সুগন্ধি মোমবাতি। ছবি- সংগৃহীত
২) খাবার টেবিল
গরমকালে যেমন কাঠের জিনিস দিয়ে ঘর সাজাতে ভাল লাগে। আবার শীতকালে রঙের ছোঁয়া দিতে সেই কাঠের টেবিলেই কভার বা রঙিন ম্যাট দিয়ে সাজিয়ে তুলুন। সঙ্গে দিতে পারেন মানানসই কুশন কভার।
৩) ভেসে যাওয়ার মতো আলো
খুব চড়া আলো শীতকালে ভাল লাগে না। ঘরে উষ্ণতা ছড়িয়ে দিতে হালকা, ভেসে যাওয়ার মতো আলো লাগানোই ভাল। সে ক্ষেত্রে অন্যান্য জায়গায় আলো না রেখে, একেবারে টেবিল যেখানে রয়েছে, তার মাথার উপর ঝোলানো আলো লাগাতে পারেন। রাতে খাওয়াদাওয়ার শেষে, প্রিয় মানুষের সঙ্গে বারান্দায় দু’দণ্ড দাঁড়াবেন কিন্তু ঝকঝকে আলো জ্বালাতে চান না। সে ক্ষেত্রে একরঙা মিনিয়েচার দিয়ে সাজিয়ে নিতে পারেন সাধের এক ফালি বারান্দা।
মূল প্রবেশদ্বার সাজিয়ে রাখলে অতিথিদেরও ভাল লাগবে। ছবি- সংগৃহীত
৪) সুগন্ধি মোমবাতি
শীতের বিষণ্ণতা দূর করতে স্নানঘরে বেসিনের পাশে রাখতে পারেন সুগন্ধি মোমবাতি। শীতের রাতে উষ্ণতা ছড়ানোর পাশাপাশি মনের অন্ধকারও দূর করবে।
৫) ভেলভেট পর্দা
গরমকালে বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠ মাসে হালকা ফিনফিনে সুতির পর্দা দেখতে ভাল লাগে। কিন্তু শীতকালের উত্তুরে বাতাস আটকাতে ওই হালকা পর্দা চলবে না। ইদানীং ভেলভেটের পর্দা ‘ফ্যাশনে ইন’, তাই ঘর এবং মেঝের কার্পেটের সঙ্গে মানিয়ে একরঙা তেমন পর্দা ঝুলিয়ে নিতেই পারেন।