বাড়িতেই বাগান করতে চাইছেন? শুরুটা কী ভাবে করবেন? —প্রতীকী ছবি।
গাছ ভর্তি ফুল, সাজানো বাগান, ফলে থাকা কাঁচালঙ্কা, পেয়ারা, সব্জি দেখলে কার না ভাল লাগে? কারও বাড়ির সাজানো বাগান দেখে যদি নিজেরও বাগান তৈরির বাসনা জাগে, তবে বেশি না ভেবে কাজে লেগে পড়তে পারেন।
নিজের হাতে গাছ বড় করার আলাদাই আনন্দ। কিন্তু সমস্যা হতেই পারে, শুরুটা কী করে করবেন, বুঝতে পারছেন না। সে ক্ষেত্রে কয়েকটি দিক মাথায় রাখলেই হবে।
স্থান নির্বাচন
বড় জায়গা না হলেও চলবে। বাড়ির ছাদে, এক চিলতে বারান্দাতেও বাগান করা যায়। তবে গাছের বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজন আলো-হাওয়া। যে অংশে বাগান করতে চাইছেন, সেই জায়গায় সূর্যের আলো ঠিকমতো আসে কি না, দেখে নেওয়া প্রয়োজন।
কোন গাছ?
বাগান শুধু ফলেরও হতে পারে, ফুলেরও। কেউ চান সব্জি ফলাতে। চাষের ধরন, মাটির প্রস্ততি আলাদা হবে। তাই প্রথমে ভেবে নিন, শুরুটা কী ভাবে করতে চান। ফুলের গাছ লাগাতে চাইলে, সেই মরসুমের ফুলগুলি বাছুন। অল্প যত্নে বেড়ে ওঠে, এমন গাছ নির্বাচন করলে সুবিধা হবে।
মাটি
গাছ লাগাতে গেলে মাটি প্রয়োজন। কী ধরনের মাটি লাগবে, তা নিয়ে বেশি না ভেবে এ বিষয়ে কোনও নার্সারির দ্বারস্থ হতে পারেন। মাটি কিনতে গেলে যে কোনও নার্সারির লোকজনই পরামর্শ দিতে পারবেন। বেলে, দোঁআশ, পলি মাটি, কোকোপিট, বিভিন্ন ধরনের মাটির বিভিন্ন রকম বৈশিষ্ট্য। এক এক ধরনের মাটির জলধারণ ক্ষমতা এক এক রকম। কোন গাছের জন্য কতটা জল প্রয়োজন, বুঝে মাটি নির্বাচন করতে হবে।
ফুল-বীজ
বর্ষায় সাধারণত গাছ দ্রুত বাড়ে। কারও বাড়ি থেকে জবা গাছ বা অন্য গাছের ডাল এনে বসাতে পারেন। আবার নার্সারি থেকে পছন্দের ফুল গাছ কিনেও আনতে পারেন। একেবারে শুরুর দিকে বাগানের নিয়মকানুন জানা থাকলে সরাসরি গাছ কিনে আনাই ভাল। টব সহ গাছও কেনা যায়। তবে পরে প্রয়োজন মতো গাছে সার দিতে হবে, জল দিতে হবে। চাইলে ঘরে থাকা ধনের বীজ, কুমড়ো বীজ, অঙ্কুরিত ছোলা-মটর ছড়িয়ে দিতে পারেন। উপযুক্ত মাটি, আলো-হাওয়া পেলে সহজেই গাছ হবে।
আলো ও জল
সাধারণত, যে কোনও গাছের জন্যেই দিনে ৫-৬ ঘণ্টা সূর্যালোক প্রয়োজন। তবে বেশির ভাগ গাছই গোড়ায় জল জমলে মরে যায় বা তাদের গোড়া পচে যায়। তাই জল দেওয়ার সময় সে দকে খেয়াল রাখা প্রয়োজন। অতিরিক্ত জল যাতে জমতে না পারে, তাই টবে মাটি ভরার আগে নুড়ি-পাথর দিয়ে রাখতে পারেন। এতে বাড়তি জল টবের নীচে চলে যাবে।
সার ও পরিচর্যা
বাজারচলতি সার কেনার বদলে জৈব সার ব্যবহার করতে পারেন। খোল পচিয়ে, সব্জির খোসা পচিয়ে সার তৈরি করা যায়। এ ছাড়া, গাছের গোড়ায় চাল বা ডাল ধোয়া জল মাঝেমধ্যে দিতে পারেন। মাটি মাঝেমধ্যে কুপিয়ে দিয়ে জল-হাওয়া ভাল চলাচল করবে। তা ছাড়া পোকা হচ্ছে কি না, পাতা কুঁচকে যাচ্ছে কি না, দেখা দরকার। সমস্যা অনুযায়ী সমাধান খুঁজতে হবে।