ছবি : সংগৃহীত।
ক্যাকটাস মানেই কাঁটায় ভরা গাছ। দেখতে যতই ছোট্ট বা মিষ্টি হোক, অনেকেই কাঁটাসর্বস্ব গাছ দিয়ে বাড়ি সাজাতে চান না। কিন্তু এমন বহু ক্যাকটাস রয়েছে, যাতে কাঁটার পাশাপাশি দারুণ দেখতে ফুলও ধরে। শীতে অনেকেই ছাদে, বারান্দায় বা বাগানে রঙিন ফুলের গাছ করেন। তাঁরা রঙিন ফুল ফোটা ক্যাকটাসও আনতে পারেন বাড়িতে।
বানি ইয়ারস ক্যাকটাস: দেখতে খরগোশের কানের মতো। তাই নাম বানি ইয়ারস। এই ক্যাকটাস দৈর্ঘ্যে বাড়ে দুই থেকে তিন ফুট পর্যন্ত। এমনিতে সাদা ফুল ফোটে। তবে ভাল সূর্যের আলো পেলে গাছে বেগুনি রঙের ফলও ধরে।
ছবি: প্রতিনিধিত্বমূলক।
চিনা ক্যাকটাস: চিনা ক্যাকটাসে সাধারণ গোলাপি ফুল ফোটে। তবে সব চিনা ক্যাকটাস একরকম নয়। কোনও গাছ ছায়ায় ভাল বাড়ে আবার কোনওটির রোদের দরকার হয়।
সাগুয়ারো ক্যাকটাস: সাগুয়ারো ক্যাকটাস অবশ্য ঘরের জন্য নয়। বাগান থাকলে পুঁততে পারেন। কারণ, এর উচ্চতা পৌঁছতে পারে চল্লিশ ফুট পর্যন্ত। তবে বাড়ে খুবই ধীর গতিতে। তাই বড় হওয়ার আগে পর্যন্ত ঘরে রাখা যাবে।
ছবি: প্রতিনিধিত্বমূলক।
ওল্ড লেডি ক্যাকটাস: নামে ‘বৃদ্ধা’ হলেও গাছে ফুল ফোটে বসন্তের বার্তা পেলে। শীতের শেষ থেকে বসন্ত জুড়ো গোলাপি ও বেগুনি ফুল ফোটে। ২৫০ প্রজাতির ওল্ড লেডি ক্যাকটাস পাওয়া যায়। বালিতেই ভাল থাকে ওল্ড লেডি ক্যাকটাস।
ইস্টার ক্যাকটাস: এই ক্যাকটাসেও ফুল ফোটে শীতের শেষ ও বসন্তের শুরুতে। সাদা, কমলা ও ল্যাভেন্ডার রঙের এই ফুল ক্যাকটাসের মাথা আলো করে থাকে।
ছবি: প্রতিনিধিত্বমূলক।
ক্র্যাব ক্যাকটাস: সাদা-লাল বা সাদা গোলাপি অথবা পুরোটাই লাল বা গোলাপি রঙের ফুস ধরে ক্র্যাব ক্যাকটাসে। বাজারে সহজলভ্য। ফুলও ফোটে শীতেই। কারণ বেড়ে ওঠার জন্য অন্যান্য ক্যাকটাসের তুলনায় এর আরও বেশি শীতল আবহাওয়া প্রয়োজন।
ব্যারেল ক্যাকটাস: আকারে গোল। তাই নাম ব্যারেল অর্থাৎ পিপে। একাধিক রিব দিয়ে এর গায়ে ভাগ থাকে। সেই রিবের উপরে থাকে কাঁটা। তার উপরে লাল, হলুদ ফুল। তবে শীতে নয়, এর ফুল ফোটে মে-জুন মাস নাগাদ।