ছবি : সংগৃহীত।
বাড়ির লাগোয়া এক ফালি ছোট্ট জায়গায় শখ করে ফুল বা সব্জির বাগান করেন অনেকেই। তবে অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় সাজানো বাগানে ফলন ভাল হচ্ছে না। হয়তো নানারকম গোলাপে ভরা বাগানের কল্পনা করেই বাগানে গোলাপ গাছ পুঁতেছিলেন। অথবা বিভিন্ন ধরনের সব্জি ফলানোর ইচ্ছে ছিল বাগানে। সেই মতো কোথাও টম্যাটো, কোথাও লঙ্কা, কোথাওবা বেগুন গাছের চারা লাগিয়েওছিলেন নিশ্চয়ই। যত্নও কিছু কম করেন না, তার পরেও গাছে ফলন না হলে বুঝতে হবে সমস্যা হচ্ছে গাছের পুষ্টিতে।
গাছের পুষ্টি সারে। গাছে ফলন না হলে আগে দেখুন গাছ তার সার পাচ্ছে কি না। সাধারণত মাটি উর্বর হলে সারের বিশেষ দরকার পড়ে না। কিন্তু ওই মাটিতেই দু’ এক বার ফলন হওয়ার পর মাটির উর্বরতা বাড়িয়ে নিতে হয়। যাঁরা বাগান চর্চা করেন, তাঁরা বলছেন গাছের প্রিয় খাবার হল পচিয়ে নেওয়া সর্ষের খোল। বাজার থেকে সর্ষের খোল কিনে তা পচিয়ে নিয়ে বাড়িতেই বানিয়ে নিতে পারেন জৈব সার।
নার্সারিতে সর্ষে পচানো ওই খোলকে বলা হয় গাছেদের সুপারফুড। গাছের পুষ্টি নিয়ে যাঁরা গবেষণা করেন, তাঁরা বলছেন সর্ষের খোলে রয়েছে নাইট্রোজেন, ফসফরাস, পটাসিয়াম, সালফার, ম্যাগনেসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ় এবং জিঙ্ক। যা গাছের বৃদ্ধির জন্য জরুরি।
এ ছাড়া সর্ষের খোল প্রাকৃতিক সারও। তাই বাগানের ফলনকে রাসায়নিক মুক্ত রাখতে চাইলেও ওই সার ব্যবহার করতে পারবেন।
কী ভাবে বানাবেন?
এক বাটি সর্ষের খোল নিলে তাতে তার পাঁচগুন জল দিয়ে ভিজিয়ে মুখ ঢেকে রাখুন। তবে ঢাকনা পুরোপুরি বায়ু নিরোধক হবে না। বোতলে রাখলে বোতলের ঢাকনার মুখে ছোট ছোট কয়েটি ফুটো করে দিতে পারেন। বেশ কিছু দিন ওই ভাবে রাখলেই খোল পচে যাবে। এ বার ওই খোল পচানো জলের সঙ্গে আরও অনেকটা জল (১ লিটার জল হলে মেশাতে হবে ১০ লিটার পরিষ্কার জল) মিশিয়ে নিলেই সার তৈরি। ওই সার ব্যবহার করলে গাছের ফলন বাড়বে। দেখতেও হবে তরতাজা।