চটজলদি প্রচুর কাপড় কাচা এবং তা অনেকটাই শুকিয়ে ফেলার জন্য দারুণ কাজ দেয় ওয়াশিং মেশিন। ছবি: সংগৃহীত
সংসারের নিত্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতির মধ্যে ওয়াশিং মেশিন এখন যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ একটি জায়গা করে নিয়েছে। রোজের ব্যস্ততার মাঝে সংসারের কাজের সময় কমানোর জন্য ওয়াশিং মেশিন এখন ঘরে ঘরে মজুত। চটজলদি প্রচুর কাপড় কাচা এবং তা অনেকটাই শুকিয়ে ফেলার জন্য দারুণ কাজ দেয় ওয়াশিং মেশিন। শুধু পোশাক নয়, বিছানার চাদর বা পর্দার মতো ভারী কাপড় কাচতে সাহায্য করে ওয়াশিং মেশিন। কিন্তু এই যন্ত্র ব্যবহার করার আগে কিছু নিয়ম জানতে হবে। না হলেই মুশকিল। সঠিক পদ্ধতি না জানা থাকলে অনেক সাধের পোশাকও নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তাই পরের বার মেশিন ব্যবহার করার আগে জেনে নিন কিছু নিয়ম।
১। শীত বিদায় নিয়েছে। অনেকেই এখন শীতের পোশাক কেচে গুছিয়ে তুলে রাখবেন। মেশিনে কাচলে শুধু ‘ওয়াশ’ আর ‘রিন্স’ ফাংশনটি ব্যবহার করুন। মানে কেচে নিন, শুকোনোর পদ্ধতি অবধি যাওয়ার প্রয়োজন নেই। উলের কাপড় ধোয়ার পর রোদে মাটিতে পেতে শুকিয়ে নিতে পারলে সবচেয়ে ভাল থাকবে।
২। শখের পোশাক মেশিনে কেচে ছোট হয়ে গিয়েছে? সঙ্গে সঙ্গে ঈষদুষ্ণ জলে অল্প শিশুদের শ্যাম্পু মিশিয়ে কিছু ক্ষণ ডুবিয়ে রাখুন।
৩। রঙিন কাপড় ধোয়ার সময়ে এক চা চামচ নুন ঢেলে দিন। রং ফিকে হবে না। রঙিন পোশাক সব সময়ে উল্টো করে মেশিনে দিন।
প্রতীকী ছবি
৪। খুব বেশি ডিটারজেন্ট ব্যবহার করবেন না। তা হলে পোশাক পরিষ্কার হতে সমস্যা হয়।
৫। মাঝেমাঝে মেশিন পরিষ্কার না করলে মেশিনও আপনার পোশাক ঠিকমতো পরিষ্কার করবে না। তাই মাসে এক বার এক বিশেষ ধরনের ডিটারজেন্ট দিয়ে একটি গোটা সাইকেল ঘুরিয়ে নিন। এই ধরনের ডিটারজেন্ট ওয়াশিং মেশিনের সঙ্গে কিনতে পাওয়া যায়।
৬। আপনার পর্দায় কি ধাতব রিং লাগানো রয়েছে? মেশিনে দিলে এগুলি ভেঙে বা খুলে আসে। তাই মেশিনে দেওয়ার আগে একটি রুমাল সবগুলি রিঙ্গের মধ্যে দিয়ে গলিয়ে বেঁধে দিন। ওয়াশ সাইকেল ‘জেন্টল’এ রাখুন।
৭। শুধু জিন্স বা কৃত্রিম ভাবে তৈরি কাপড়ের পোশাক ধোয়ার জন্য গরম জল ব্যবহার করুন। বাকি সব পোশাক, বিশেষ করে গাঢ় রঙের পোশাক, বা সুতির পোশাক ঠান্ডা জলেই ধুয়ে নিন। নয়তো রং উঠে পোশাক ছোট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।