তাড়াহুড়োর সময় কোনও সমস্যা না চাইলে হেঁশেল সংক্রান্ত কয়েকটি বিষয়ে নজর দিন। ছবি: সংগৃহীত।
হেঁশেল সামলানো সহজ নয়। রান্না করা হয়ে গেল মানেই হেঁশেলের সঙ্গে সম্পর্ক শেষ, তা কিন্তু নয়। বরং রান্না করা ছাড়াও হেঁশেলে আরও অনেক কাজ থাকে। সেগুলি সময় মতো গুছিয়ে না রাখলে অনেক সময়ে বিপাকে পড়তে হয়। রান্না করা ছাড়াও তাই রান্নাঘরের অন্য কয়েকটি ক্ষেত্রে যত্নশীল হওয়া জরুরি। প্রচণ্ড ব্যস্ততার সময়েও এমন কিছু করা ঠিক না, যা থেকে পরে সমস্যা হতে পারে। রান্নাঘরের কোনও কাজেই গাফিলতি ঠিক উচিত নয়। তা়ড়াহুড়োর সময় কোনও সমস্যা না চাইলে কয়েকটি দিকে নজর দেওয়া জরুরি।
১) সিঙ্কে জল আটকে যাওয়া রান্নাঘরের অত্যন্ত সাধারণ একটি সমস্যা। কমবেশি সকলেই বহু বার এই সমস্যায় ভুগেছেন। অনেক সময়ে অসতর্কতার কারণে শাকসব্জির খোসা, মাছের আঁশ, ডিমের খোলা, সুতো, আরও অনেক কিছু বেসিনের মুখে আটকে যায়। জল যেতে পারে না। বেসিনে জল আটকে গেলে দুর্ভোগের শেষ থাকে না। চটজলদি বাসনপত্র ধুয়ে নিতে সমস্যা হয়। বেসিনে আটকে যেতে পারে, এমন জিনিস আলাদা করে তুলে অন্য কোথাও রাখুন। বেসিনে ফেলবেন না।
২) রান্না করার সময় রান্নাঘরের জানলা খুলে রাখুন। রান্নার সময় বাতাস চলাচলের সুযোগ রাখা উচিত। না হলে রান্নার গ্যাস জমে থাকবে ঘরের ভিতরেই। ফলে শ্বাসকষ্ট হতে পারে।
রান্না করার সময় রান্নাঘরের জানলা খুলে রাখা দরকার। ছবি: সংগৃহীত।
৩) রান্না করতে করতেই মিক্সিতে মশলা গুঁড়িয়ে নেন অনেকে। এই অভ্যাস কিন্তু একেবারেই ভাল নয়। ভেজা হাতে বৈদ্যুতিক কোনও যন্ত্রে হাত দেওয়া ঠিক নয়। যে কোনও সময়ে বিপদ ঘটতে পারে। তা ছাড়া, মিক্সি কিংবা মাইক্রোওয়েভ চালু করার সময়ে সাবধানে থাকুন। ব্যবহারের পরে সুইচ বন্ধ করে তার পর প্লাগে হাত দিন। আর রান্নাঘরে যদি বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি রাখতেই হয়, তা হলে গ্যাসের কাছাকাছি রাখবেন না। অনেকটা দূরে রাখুন।
৪) গ্যাসের পাইপ অনেক সময়ে ফুটো হয়ে যায়। কিন্তু সব সময় তা বোঝা যায় না। ফলে বড়সড় কোনও বিপদ এড়াতে সতর্ক থাকা জরুরি। এমনিতে দু’মাস অন্তর গ্যাসের সার্ভিসিং করা জরুরি। তবে পাইপ যে হেতু পুরু হয়, ফলে ফুটো হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি কম। তবু ছ’মাস অন্তর পাইপ বদলে নেওয়া জরুরি।
৫) অনেকেই পাথরের তাকের উপর গ্যাস রাখেন। গরম কড়াই কিংবা প্রেশার গ্যাস থেকে নামিয়ে সরাসরি সেই তাকের উপর রাখবেন না। পাথরে মাঝখান থেকে চিড় ধরে যেতে পারে। এমন হলে অল্প দিনেই দু’ভাগ হয়ে যেতে পারে তাকটি। তখন নতুন করে তৈরি করা ছাড়া উপায় নেই।