গরমে বদলে যাক ঘরের সাজ। ছবি: সংগৃহীত।
গরম পড়লেই বদলে যায় সাজপোশাক। আলমারিতে জায়গা করে নেয় সুতির হালকা পোশাক। প্রসাধনেও পরিবর্তন আসে। চড়া মেকআপের পরিবর্তে শুধু সানস্ক্রিন মেখে বেরিয়ে পড়তেই ভালবাসেন অনেকে। গ্রীষ্মের দাপটে স্বস্তিতে থাকতে এটুকু বদল আনতেই হয়। তবে শুধু তো নিজের সাজপোশাক বদলালে চলবে না, ঘরের সাজেও বদল আনতে হবে। গলদঘর্ম হয়ে বাড়ি ফিরে দু’দণ্ড শান্তিতে বিশ্রাম নেওয়ার উপযোগী করে তুলতে অন্দরসজ্জাতেও খানিক পরিবর্তন আনা জরুরি। গরমে কেমন হবে ঘরের সাজসজ্জা?
১) প্রত্যেক মরসুমে বাড়ির রং বদলানো সম্ভব নয়। কিন্তু ঘরের আবহ বদল হবে রং নিয়ে খেললেই। বিছানার চাদর, পর্দা, কুশন কভার, টেবিল কভার বদলে একটু হালকা রঙের কাপড় পাতলে ভাল। সাদা, বেজ বা হালকা সবুজ বা নীলের মতো রং ভাল মানাবে। তবে হালকা রঙের পর্দার পাশাপাশি একটা ভারী পর্দাও রাখতে হবে। দুপুরের চড়া রোদ আটকানোর জন্য তা অত্যন্ত জরুরি।
২) ঘরের কোণে গাছ রাখতে পারেন। গ্রীষ্মে সবুজের ছোঁয়া চোখে আরাম দেয়। মন শান্ত করে। অনেকের বাড়িতের অবশ্য অন্দরসজ্জার অন্যতম অনুষঙ্গ গাছ। তবে এই গ্রীষ্মে আরও কয়েকটি গাছ বেশি রাখলে ক্ষতি নেই। সবুজের সমারোহের মাঝে রঙিন ফুল দিয়েও সাজাতে পারেন ঘর। ঘরের ভোল বদলে যাবে।
ঘরের কোণে গাছ রাখতে পারেন। ছবি: সংগৃহীত।
৩) ঘর ঠান্ডা রাখতে সব সময়ে বাতানুকূলযন্ত্র ব্যবহার করার দরকার নেই। কৃত্রিম উপায়ে সাময়িক স্বস্তি হয়তো পাওয়া যায়। কিন্তু সারা ক্ষণ এসি-র ঠান্ডায় থাকলে শরীরে তার প্রভাব পড়ে। তা ছাড়া, অনেকেই শীতাতপনিয়ন্ত্রক যন্ত্র ব্যবহার করেন না। সে ক্ষেত্রে ঘরে শীতলতার পরশ আনতে মাদুরের পর্দা, শীতলপাটি কিংবা টেরাকোটার শোপিস রাখতে পারেন। এগুলি ঘরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করবে। গরমে ঘরের মেঝেতে ভারী কার্পেট না পাতলেই ভাল।
৪) ঘামে স্নান করে বাড়ি ফিরেই মন ভাল করা গন্ধ আসে নাকে, তা হলে ক্লান্তি অনেকটাই কেটে যায়। তাই বাড়িতে পছন্দের গন্ধের রুম স্প্রে ছড়িয়ে দিতে পারেন। কিংবা সুগন্ধি মোম জ্বালাতে পারেন। গন্ধে মন উদাস হয়ে এলে গ্রীষ্মের উষ্ণতা আর গায়ে লাগবে না।