বাজারের মশলার গুণেও কি স্বাদ হয় রান্নায়? ছবি:সংগৃহীত।
স্বাস্থ্যসচেতন বাঙালি ইদানীং রান্নায় কম মশলা ব্যবহার করছেন। গ্যাস-অম্বলের সমস্যা এড়াতেই মূলত তেল-মশলা দেওয়া খাবার কম খান অনেকে। তবে এটা ঠিক যে, সুস্বাদু রান্নার অপরিহার্য উপাদান হল মশলা। রোজকার সাধারণ মাছের ঝোল থেকে বাহারি নানা পদ— সুস্বাদু হয়ে ওঠে পর্যাপ্ত পরিমাণে মশলা দিলেই। আগে অবশ্য বাড়িতে বাটা মশলা দিয়েই রান্না হত। কিন্তু এখন ব্যস্ততা বেড়েছে। সময় বদলেছে। বাড়িতে মশলা তৈরি করে নেওয়ার সময় নেই কারও হাতে। অগত্যা রান্নায় স্বাদ আনতে দোকান থেকে কেনা মশলাই একমাত্র ভরসা। তবে এতে সময় বাঁচে। তাড়াহুড়োর সময় মশলা নিয়ে আলাদা করে ভাবতে হয় না। কিন্তু গুঁড়ো মশলা দিয়ে রান্না করলে রান্নায় স্বাদ হয় না। রসুন বাটা থেকে জিরে বাটা— সব কিছুই দরকার মতো কিনে নেওয়া যায়। তবু প্যাকেটজাত মশলার ব্যবহারে কেন তেমন স্বাদ হয় না রান্নায়?
গুণগতমান
দোকানের মশলা যে সব সময় খুব যত্ন করে রাখা হয়, এমন নয়। তা ছাড়া অনেক দিন পর্যন্ত এগুলি প্যাকেটবন্দি হয়ে পড়ে থাকে। দোকানের স্যাঁতসেঁতে আবহাওয়ায় অনেক সময়ে ঝোলানো থাকে মশলার প্যাকেটগুলি। আর্দ্র পরিবেশে মশলা রাখলে এমনিতেই এর গুণমান নষ্ট হয়ে যায়। রান্নার স্বাদও কমে।
মিইয়ে যাওয়া মশলা
বাড়িতে তৈরি করা মশলা সব সময় খুব টাটকা এবং তাজা হয়। লঙ্কা, হলুদ, আদা সেই মুহূর্তে বেটে রান্নায় দিলে আলাদা একটা স্বাদ পাওয়া যায়। টাটকা মশলার মধ্যে একটা সরস ভাব থাকে। ফলে রান্নায় সেই বাটা মশলা ব্যবহার করলে স্বাভাবিক ভাবেই স্বাদ বাড়ে। কিন্তু প্যাকেটের মশলা ততটা তাজা হয় না। কারণ বহু দিন আগেই মশলা প্যাকেটে ভরা হয়। মশলা তৈরির কত দিন পরে রান্নায় সেগুলির ব্যবহার হয়, তার কোনও হিসাব থাকে না।
গন্ধহীন
বাটা মশলায় রান্নার সময় গন্ধে সারা বাড়ি ম ম করে। তবে প্যাকেটজাত মশলায় কিন্তু তেমন কোনও আলাদা গন্ধ থাকে না। তা ছাড়া প্যাকেটের মশলায় নানা রাসায়নিক উপাদান মেশানো থাকে। রাসায়নিক দ্রব্য মিশ্রিত মশলা খেলে শরীরের পক্ষেও তা ক্ষতিকর হতে পারে।