শীতে বাগানের পরিচর্যায় কোন দিকে নজর দেবেন? ছবি: সংগৃহীত।
ঋতু বদলের সঙ্গে সঙ্গে বদলে যাওয়া আবহাওয়ার প্রভাব যেমন শরীরে পড়ে, তেমনই পড়ে গাছেও। শীতের মরসুমে বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ কম থাকে, দিন ছোট হয়ে যাওয়ায় সূর্যালোকও অপেক্ষাকৃত কম পাওয়া যায়। তার উপর থাকে ঠান্ডা। আবহাওয়ার এই বদলেরই প্রভাব পড়ে গাছেও। এই সময় কী ভাবে বাগানের পরিচর্যা করবেন?
বারান্দার গাছ: বারান্দায় বাগান করেছেন। কিন্তু গ্রীষ্মকালে সেখানে যে ভাবে রোদ পড়ে শীতে তেমন পড়ে না। প্রথমেই দেখতে হবে গাছ যাতে যথাযথ সূর্যালোক পায়। যে গাছ বেড়ে ওঠার জন্য সরাসরি সূর্যালোকের দরকার, সেই গাছের টবগুলি যেখানে রোদ পড়ছে সেখানে সরিয়ে দিন। ঘরের ভিতর সাজিয়ে তুলতে গাছ রেখেছেন। গাছগুলি একটু জানলার দিকে যেখানে রোদ আসে সেখানে সরিয়ে দিন। সকাল এবং বিকালে সরাসরি সূর্যালোকে রাখতে পারলেও ভাল হবে।
জল এবং আর্দ্রতা: বাতাসে এই সময় আর্দ্রতার পরিমাণ কমে যায়। তার প্রভাব গাছেও পড়তে পারে। বিশেষত ঘরের ভিতরে রাখা গাছের ক্ষেত্রে আর্দ্রতা কতটা বজায় থাকছে বোঝা প্রয়োজন। গাছে এই সময় জল দিতে হবে বুঝে। শীতে সাধারণত বেশি জল লাগে না। টবের মাটি শুকিয়ে না গেলে জল দেওয়ার দরকার হবে না। বাগানের গাছের জন্যেও তা প্রযোজ্য। শীতের সময়ে হিম পড়ে। তাতে মাটি ভিজে যায়। রাতেও মাটিতে ভিজে ভাব থাকে। ফলে সকালেই প্রচুর জল দিয়ে দিলে হবে না। প্রয়োজনমতো জল দেওয়া দরকার।
মালচিং: অনেক গাছই ঠান্ডায় নষ্ট হয়ে যায়। সে কারণে দরকার মালচিং। এতে মাটি জৈব বা কৃত্রিম জিনিস দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়। ফলে, এক দিকে যেমন আগাছা জন্মাতে পারে না, তেমনই মাটি খুব বেশি ঠান্ডা হয়ে যায় না, পাশাপাশি আর্দ্রতাও বজায় থাকে। প্রয়োজন মতো বিভিন্ন গাছে এই সময় মালচিং করা দরকার। গাছের শুকনো পাতা, খড়, কাগজ, প্লাস্টিক বিভিন্ন জিনিস দিয়ে মাটি বা গাছের গোড়া ঢেকে দেওয়া যায়।