গরমে মনের যত্ন নেবে গাছ। ছবি: সংগৃহীত।
গরমে ওষ্ঠাগত প্রাণ। সেই সঙ্গে তীব্র দাবদাহে নাজেহাল। কোনও কিছুতেই যেন স্বস্তি পাওয়া যাচ্ছে না। এসি ঘরে থাকলেও, একটা অস্বস্তি যেন সারা ক্ষণ ঘিরে থাকছে। সেই সঙ্গে এই প্রবল গরমে মনখারাপ তো লেগেই আছে। মনের অবশ্য দোষ নেই। আবহাওয়া মনের উপর প্রভাব ফেলে। মনোরম পরিবেশ মনের যত্ন নেয়। তেমনি এই ভ্যাপসা গরম মনে একরাশ বিরক্তির জন্ম দেয়। তবে গ্রীষ্মকালীন মনখারাপ কাটিয়ে দিতে পারে কিছু গাছ। অনেকের বা়ড়ির অন্দরেই বাহারি গাছেদের সারি রয়েছে। এই গরমে শারীরিক এবং মানসিক স্বস্তি পেতে বিশেষ কয়েকটি গাছ ঘরে রাখতে পারেন।
স্পাইডার প্ল্যান্ট
অনেকের বাড়িতেই এই গাছ রয়েছে। যদি না থাকে, তা হলে কিনতে পারেন। স্পাইডার প্ল্যান্ট ঘরের বাতাস শুদ্ধ রাখে। ঘরের বাতাসের আর্দ্রতা শোষণ করে ভ্যাপসা ভাব দূর করে।
স্নেক প্লান্ট
ঘর বাতাস থেকে আর্দ্রতা শুষে নেয়। বাতাস ফুরফুরে রাখে। ফলে অস্বস্তি কম হয়। খুব কম জলে বেঁচে থাকে এই গাছগুলি। খুব বেশি আলোরও প্রয়োজন নেই এদের। তাই ঘরের কোণে, যেখানে সরাসরি সূর্যের আলো পৌঁছয় না, সেখানেও রাখতে পারেন এই গাছগুলি। সপ্তাহে এক দিন বা কোনও কোনও সময়ে দশ দিনে এক বার জল দিলেও চলে।
পিস লিলি
বাকি গাছগুলির মতো এটিও বাতাস ভারী হতে দেয় না। ফলে অস্বস্তি কম হয়। সামান্য যত্নেই দিব্যি বেঁচে থাকতে পারে এই গাছ। তবে কড়া রোদ আসে, ঘরের এমন জায়গায় এই গাছ না রাখাই ভাল। মাটি একটু ভেজা ভেজা থাকলে এই গাছ খুব ভাল থাকে। সারা বছর ধরেই এ গাছে সাদা ফুল হয়। যা এই গাছের জনপ্রিয়তার সবচেয়ে বড় কারণ। সৌন্দর্য বাড়িয়ে তোলার পাশাপাশি ঘরের বাতাস পরিশুদ্ধ রাখতেও সাহায্য করে এই গাছ।
অ্যান্থুরিয়াম বা ফ্ল্যামিংগো লিলি
ঘরের যে কোনও জায়গায় রাখা যায়। আলো ভালবাসে এই গাছ। সারা বছর লাল রঙের ফুল ফোটে। পিস লিলি-র মতো এর মাটিও একটু ভিজে রাখতে পারলে ভাল হয়। বাতাস থেকে বিভিন্ন ধরনের দূষিত পদার্থ শোষণ করে নিতে পারে এই গাছ।