ছবি: সংগৃহীত।
ইউটিউব হোক কিংবা ইনস্টাগ্রাম, সমাজমাধ্যমের পাতায় ‘ভ্লগ’ ভিডিয়োর ছড়াছ়ড়ি। সেই ভিডিয়োয় উঠে আসে উদ্যাপন, দৈনন্দিন জীবন, পাহাড়-সমুদ্র কিংবা জঙ্গলে বেড়ানোর অভিজ্ঞতার মতো নানা বিষয়। কেউ শখে এই ধরনের ভিডিয়ো তৈরি করেন, কারও আবার ‘ভ্লগ’ তৈরি করাই পেশা।
অনেকেই আজকাল ‘কনটেন্ট ক্রিয়েটর’ হতে চান। কাঁধে ক্যামেরা নিয়ে বেরিয়ে পড়েন ‘কনটেন্ট’ খুঁজতে। তবে এই ধরনের ভিডিয়ো যে ক্যামেরা ছাড়া হবে না, তা একেবারেই নয়। অ্যান্ড্রয়েড ফোনটি দিয়েও দারুণ ভিডিয়ো তৈরি করা যেতে পারে। তবে তার জন্য কিছু কৌশল জেনে রাখতে হবে। শুধু আনুষঙ্গিক আলো, মাইক্রোফোন, ট্রাইপড থাকলেও কেল্লাফতে।
১. ফ্লাইট মোড
মোবাইলে ভিডিয়ো করতে করতে যে কোনও সময় ফোন আসতে পারে। তাতে ভিডিয়ো তৈরিতে ব্যাঘাত ঘটতে পারে। তাই ভিডিয়ো শুরু করার আগে ফোনের ফ্লাইট মোডটি চালু করে নিন। তা হলে আর ফোন আসবে না।
২. ফোন আড়াআড়ি ভাবে রাখুন
ভিডিয়ো করার সময় অনেকেই ফোনটি ভুল ভাবে ধরেন। ‘ভ্লগ’ বানানোর ক্ষেত্রে ফোন সোজাসুজি ধরা সঠিক নিয়ম নয়। ভিডিয়ো তৈরির ক্ষেত্রে ফোন সব সময় আড়াআড়ি ভাবে ধরতে হবে।
৩. যাচাই করে নিন
ভিডিয়ো শ্যুট করার পরেই এক বার দেখে নিন সব ঠিক আছে কি না। যা চেয়েছিলেন তেমনটাই হয়েছে কি না। এডিটের সময় দেখবেন বলে ফেলে রাখবেন না। একেবারে শেষে গিয়ে দেখলে কিছু বদলাতে চাইলেও সব সময় তা সম্ভব হবে না।
৪. সঠিক ফ্রেম
ছবির মতো ভি়ডিয়োরও সঠিক ফ্রেম দরকার। না হলে দর্শকের দেখতে ভাল লাগবে না। তাই ভিডিয়ো শুটের সময় সেই বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে। ফ্রেম হল ভিডিয়োর সব চেয়ে বড় সৌন্দর্যের অংশ। সেটা ঠিক না রাখলেই মুশকিল।
৫. ঠিকঠাক এডিট
ল্যাপটপ না থাকলেও অসুবিধা নেই। ফোনেই ভিডিয়ো এডিট করে নিতে পারেন। এডিট করার বিভিন্ন অ্যাপ রয়েছে। সেগুলিরই কোনও একটি ডাউনলোড করে নিন। কী ভাবে ব্যবহার করতে হয়, সেটি জেনে নিতে হবে। তা হলে নিজেই ভিডিয়ো এডিট করে নিতে পারবেন।