আপনার ঘরে কেমন সোফা মানাবে, জেনে নিন। ছবি: ফ্রিপিক।
বসার ঘরের সাজসজ্জা এমন হবে, যে ঘরে পা দিয়েই মন ভরে উঠবে অতিথিদের। বসার ঘর যদি বড় হয়, তা হলে বড়সড় নরম গদিওয়ালা সোফার কথাই আগে মনে পড়ে। কুশন টেনে এনে পা তুলে সেই নরম গদিতে গা এলিয়ে দিয়ে আড্ডা জমে উঠবে বেশ। তবে সোফা কিনলেই হল না। ঘরের আকার কেমন, ঘরের কোথায় কেমন আসবাব আছে, সব কিছু মাথায় রেখেই সোফা কেনা উচিত। ঠিকমতো গুছিয়ে আসবাব রাখতে পারলে, ঘরের সাজটাই বদলে যাবে। মনে রাখবেন, একই রকম সোফা কিন্তু সব ঘরে মানাবে না। তাই কোন ঘরে কেমন সোফা থাকবে তা জেনেবুঝে কেনাই ভাল।
বড় ঘরের মধ্যে একটি অংশই বসার জন্য নির্দিষ্ট করতে চাইলে, সেখানে সেকশনাল সোফা রাখা যায়। অর্থাৎ এক দিকে অন্তত তিন-চার এবং তার কোনাকুনি এক-দু’জনের বসার জায়গা। মাঝে রাখতে পারেন সেন্টার টেবিল।
মধ্যবিত্ত বাঙালি ঘরে একটা সময় পর্যন্ত সোফার বিলাসিতা তেমন ছিল না। বসার ঘরে বড় চৌকির উপর চাদর বিছিয়ে দেওয়া হত। সঙ্গে থাকত দু’একটি চেয়ার বা বেতের মোড়া। আস্তে আস্তে দিন পাল্টেছে। এখন চৌকির জায়গা নিয়েছে দামি খাট। বসার ঘর সেজে উঠেছে আরামদায়ক বিভিন্ন রকম সোফায়।
বসার ঘর কেমন হবে তার উপর নির্ভর করছে ঠিক কেমন সোফা কিনবেন। সে ক্ষেত্রে বসার ঘরের আকার ও মাপ বোঝা খুব জরুরি। যদি ঘর বড় ও চৌকো হয়, তা হলে ঘরের মাঝ বরাবর ‘এল’ আকৃতির সোফা রাখা যেতে পারে। গদির সোফা যদি না হয়, তা হলে কাঠের সোফাও বেশ লাগে। তিন বা চার আসনের বড় একটি সোফা এবং তার দুই পাশে এক আসনের আরও দু’টি। মাঝে রাখুন কাচের সেন্টার টেবিল। সুন্দর গদি ও কুশন দিয়ে সাজিয়ে দিন সোফা।
দেওয়াল ঘেঁষে যদি সোফা রাখেন, তা হলে দেখবেন সেই দেওয়ালে সোফার ঠিক উপরেই যেন জানলা না থাকে। যদি জানলা থাকে তা হলে একটু সরিয়ে সোফা রাখুন। এখন অনেক আধুনিক সোফার ডিজাইন বেরিয়ে গিয়েছে। তবে পুরনো দিনের স্টাইল পছন্দ করেন অনেকে। সোফায় বাটালির খোদাই পছন্দ অনেকের। সে ক্ষেত্রে মেহগনি কাঠ ব্যবহার করাই ভাল। তবে মূল্য কিন্তু অনেকটাই বাড়বে।
স্লিপার সোফা আবার অন্য রকমের। সোফার তলাতেই থাকে আর একটি এক্সটেনশন। সেটি টেনে নিলেই সোফা পরিণত হয় খাটে। অর্থাৎ প্রয়োজন অনুযায়ী সোফাকে বদলে নিতে পারেন খাটে। সোফা কাম বেডও বলা যেতে পারে এটিকে।
সোফার উপর কেমন কভার পাতছেন বা কুশন রাখছেন, সেটিও কিন্তু জরুরি। মনে রাখতে হবে, সোফার রং যদি গাঢ় হয়, তা হলে কভারের রং হালকা হলেই ভাল লাগবে। হরেক মাপ ও আকারের কুশন এখন খুব চলছে। গোল, ত্রিকোণ, চৌকো ইত্যাদি জ্যামিতিক আকার ছাড়াও একফালি তরমুজ, স্ট্রবেরি, পেঁচা, মাছ বিভিন্ন রকমের কুশন কিনতে পাওয়া যায়। আরাম করে সোফায় বসার জন্য ‘অল ফোম’ কুশন কিনতে পারেন। এই ধরনের কুশনের পেটের মধ্যে বেশি ঘনত্বের ফোম ব্যবহার করা হয়। কুশনের রঙও কিন্তু বাছাই করে নিতে হবে। বসার ঘরের দেওয়াল, পর্দা, সোফার রঙের সঙ্গে কুশনের রং যেন মানানসই হয়। পাশাপাশি সব একই রঙের কুশন না রেখে বিভিন্ন রঙের কুশন দিয়ে সাজাতে পারেন। দেখতে খুব ভাল লাগবে।