খরচ বাঁচান বুদ্ধি করে। ছবি: সংগৃহীত।
মাসের শুরু থেকেই যদি একটু মাথা খাটিয়ে হেঁশেল চালানো যায়, তা হলে শেষের দিকে আর সমস্যা হওয়ার কথা নয়। সাধারণত অপচয় বেশি খাবারদাবারে। বাসি হয়ে গেলে খাবার না খাওয়া কিংবা কোনও খাবার নরম হয়ে গেলে তা ফেলে দেওয়া— এমন করেই বিভিন্ন সময়ে খাবার নষ্ট হয়। ফলে খরচও হয় বেশি। তাই ফেলা দেওয়ার প্রবণতা কমাতে হবে। খাবারদাবারের প্রতি বাড়তি নজর দিলে, সময় এবং টাকা দুই-ই বাঁচবে।
১) রোজ একটি করে কলা খাবেন বলে একসঙ্গে এক ডজন কলা কিনেছেন। এ দিকে রোজ অফিস আর বাড়ি করতে গিয়ে, কলা আর খেয়ে ওঠা হয়নি। এত দিন রেখে দেওয়ার ফলে কলাগুলি কালো হয়ে গিয়েছে। অগত্যা সেগুলি ফেলে দেবেন বলেই মনস্থির করলেন। দাম দিয়ে কলা কিনে ফেলে দেবেন? জানেন কি, কলা বেশি পেকে গেলে বেকিং ভাল হয়? কলা দিয়েই বানিয়ে ফেলুন কেক।
২) অফিস থেকে ফিরে আলুসেদ্ধ-ভাত খাবেন। কিন্তু অন্যমনস্ক হয়ে প্রয়োজনের চেয়ে বেশি আলু ভাতে দিয়ে ফেলেছেন। নষ্ট না করে ওই অতিরিক্ত আলুগুলি চটকে ভাজা পেঁয়াজ কুচি আর শুকনো লঙ্কা দিয়ে ভর্তা বানিয়ে নিন। পরের দিন একটা কম পদ রাঁধলেও চলবে।
৩) পিৎজা কিনে ফ্রিজে রেখে দিয়েছেন। কিন্তু কাজের চাপে তা বেমালুম ভুলে গিয়েছেন। দু’দিন পরে ফ্রিজ খুলে সেই পিৎজা আবিষ্কার করলেন। নষ্ট না হলেও স্বাদের তো এদিক-ওদিক হবেই। কিন্তু এত দাম দিয়ে কেনা পিৎজা ফেলে দিতেও মন চায় না। ফেলে দেবেনই বা কেন? ফ্রিজ থেকে পিৎজা বার করে কিছু ক্ষণ স্বাভাবিক তাপমাত্রায় রাখুন। তার পর উপর থেকে চিজ আর চিলি ফ্লেক্স ছড়িয়ে, মাইক্রোওয়েভে গরম করে নিলেই পুরনো পিৎজার নতুন স্বাদ ফিরে পাবেন।