ঘরে ভরে উঠুক গাছের সবুজে। ছবি: সংগৃহীত
দেশজুড়ে করোনা সংক্রমণের হার ফের উর্ধ্বমুখী। তাই বিভিন্ন অফিসেও এখন ৫o শতাংশ কর্মী নিয়ে কাজ হচ্ছে। ফলে এখন অধিকাংশ অফিসের কাজকর্ম বাড়ি থেকেই করছেন অনেকে। বাইরের এই অতিমারি পরিস্থিতিতে নিজেকে শান্ত রাখাটা খুবই জরুরি। তার জন্য সারাদিনে আপনি যেখানে কাটাচ্ছেন অর্থাৎ আপনার বাড়ির পরিবেশ, সাজসজ্জাতেও থাকুক শান্তির ছোঁয়া।
ঘরে আলো আসতে দিন
কেমন হয় যদি সকালের মিষ্টি রোদ এসে আপনার ঘুম ভাঙায়? রোদের ডাকে সকাল শুরু হলে সারাদিনটাও ভাল যায়। শুধু সকাল নয়, ঘরের জানলা দিয়ে সারাদিন যাতে রোদ এসে ঘর ভেসে যায় সেদিকে নজর দিন। বৈদ্যুতিক আলোর পরিবর্তে ঘরে থাকুক রোদের ছোঁয়া। সরাসরি রোদ গায়ে লাগাতে না চাইলে জানলায় লাগাতে পারেন সাদা রঙের পর্দা।
বাড়ির অব্যবহৃত জিনিসপত্র সরিয়ে ফেলুন
নতুন বছর মানেই পুরনো সব কিছু পিছনে ফেলে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়া। শুধু জীবনে নয় ঘর গোছাতেও এই পন্থা অবলম্বন করুন। বাড়ির যাবতীয় অব্যবহৃত জিনিসপত্র অকারণে ডাঁই করে রাখবেন না। জামাকাপড় বা পুরনো আসবাবপত্র। এতে ঘরের পরিবেশ অসুন্দর হয়ে ওঠে।
ঘরে আলো আসতে দিন। ছবি: সংগৃহীত
ঘরে ভরে উঠুক গাছের সবুজে
নতুন বছরের ঘরে আনুন নতুন অতিথি। সবুজ গাছ। বাড়ির অন্দর জুড়ে রাখতে পারেন বাহারি গাছ। কয়েকটি গাছ থাকতে বারান্দা জুড়ে। ঘুম থেকেই উঠেই চোখ যায় এমন স্থানে রাখতে পারেন সবুজ গাছ। সবুজের আবহে থাকলে শরীর যেমন ভাল থাকবে, মনও ভরে উঠবে প্রশান্তিতে।
ঘরে থাক সুগন্ধির ছোঁয়া
ঘ্রাণ মানুষের অন্যতম অনুভূতি। সুগন্ধ মন শান্ত রাখে। ঘরে রাখতে পারেন বিভিন্ন রকম ডিফিউজার। ব্যবহার করতে পারেন ল্যাভেন্ডার বা লেমনগ্রাসের রুম ফ্রেশনারও।
পুরনো আসবাবে লাগুক নতুনত্বের ছোঁয়া
অনেকদিন ধরে একই আসবাব ব্যবহার করার ফলে তার রূপেও যেমন পরিবর্তন আসে। গুণগতমানও ধীরে ধীরে কমতে থাকে। সামগ্রিক ভাবে ঘরের পরিবেশেও একটা অগোছালো ভাব তৈরি হয়। তাই পুরনো আসবাবপত্রে লাগাতে পারেন নতুন রঙের প্রলেপ। চেয়ারের হাতলগুলি ঠিক করে নিন প্রয়োজনে। নিজের মতো করে নকশাও করিয়ে নিতে পারেন