নতুন রঙের নেলপালিশ তৈরির সহজ কৌশল শিখে নিন। ছবি:ফ্রিপিক।
দু’-তিন বার ব্যবহারের পরেই নেলপালিশের রং কি একঘেয়ে লাগে? ফের নতুন একটি কেনা হয়, বাতিল হয়ে যায় পুরনোটা। তার পর পুরনো নেলপালিশ পড়ে থেকে শুকিয়ে গেলে একসময় সেটির স্থান হয় ময়লা ফেলার পাত্রে।
তবে সহজ কয়েকটি কৌশল জানলে পুরনো নেলপালিশ দিয়েই বানানো যাবে নতুন রং। শুধু নেলপালিশ নয়, যে সমস্ত প্রসাধনী কেনার পরও কম ব্যবহার হয়, কাজে লাগিয়ে ফেলতে পারেন সেগুলিও।
কৌশল ১: এ জন্য লাগবে স্বচ্ছ নেলপালিশ যা টপ কোট হিসাবে ব্যবহার হয়। রঙিন নেলপালিশের উপর একদম শেষে দেওয়া হয় স্বচ্ছ নেলপালিশের পরত। এতে নেলপালিশ নখে দীর্ঘস্থায়ী হয়। এই স্বচ্ছ নেলপালিশে মিশিয়ে নিতে হবে পছন্দের আইশ্যাডো, ব্লাশের রংটি।
আইশ্যাডোর প্যালেট থেকে একটি রং চামচের হাতলের সাহায্যে তুলে একটি পরিষ্কার কাগজে ঢেলে নিন। সেটি ভাল করে গুঁড়িয়ে নিতে হবে। আইশ্যাডো প্যালেটে এমন অনেক রং থাকে যা হয়তো চোখে ব্যবহার করতে পছন্দ করেন না কিন্তু নেলপালিশ হিসাবে সেই রং মানাবে, তেমন কোনওটি বেছে নিতে পারেন। একটি কাগজের চোঙ তৈরি করে স্বচ্ছ নেলপালিশের শিশির মধ্যে সেই গুঁড়ো ঢেলে দিন। ভাল করে ঝাঁকিয়ে মিশিয়ে নিলেই তৈরি হবে যাবে নতুন রঙের নেলপালিশ।
কৌশল ২: অনেকেই দু’-তিন বার ব্যবহারের পর সেই নেলপালিশটি আর পরতে চান না। রং একঘেয়ে মনে হয়। এ ভাবেই বিভিন্ন রঙের নেলপালিশ জমতে শুরু করে। এ গুলি কাজে লাগিয়ে বানিয়ে ফেলতে পারেন মনের মতো রঙের নতুন নেলপালিশ। বিষয়টি খানিকটা রং মিশিয়ে নতুন রং তৈরির মতো। ছবি আঁকার সময় দুই বা তিন ধরনের রং মিশিয়ে নতুন রং তৈরি করেন শিল্পীরা। সে রকমই একটি একটি ছোট বাটিতে দু’-তিন রকম নেলপালিশ মিশিয়ে দেখতে পারেন কোন রংটি ভাল লাগছে। পছন্দের রং পেয়ে গেলে, একটি শিশির মধ্যে বাকি রংগুলি মিশিয়ে ঝাঁকিয়ে নিন।
কৌশল ৩: নতুন তৈরি করা নেলপালিশে বাড়তি জেল্লা আনতে চাইলে যোগ করতে পারেন অভ্র। স্বচ্ছ নেলপালিশে রঙিন অভ্র যোগ করলেও নতুন রং পাওয়া যাবে।